1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি

১৬ মার্চ ২০১০

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আগামী দিনের ইরাকের পুরোপুরি চিত্র এখনও ফুটে উঠছে না৷ নির্বাচনে এক কোটি বিশ লাখ ভোট পড়লেও তার মাত্র চার ভাগের এক ভাগ গণনা শেষ হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/MUBw
ফাইল ফটোছবি: AP

এখন পর্যন্ত ফলাফলের যে ধারা দেখা যাচ্ছে তা পরিবর্তন হওয়ারও বেশ সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবু ইতিমধ্যে প্রতিবেশী সুন্নি অধ্যুষিত আরব দেশগুলো ইরাকের উপর ইরানের প্রচ্ছন্ন প্রভাবের আশংকা করছে৷

বিশেষ করে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর উদ্বেগ, ইরাকের এক সময়ের প্রভাবশালী সুন্নি গোষ্ঠীকে তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্ব না দিয়ে বরং তাদেরকে বঞ্চিত করতে যাচ্ছে শিয়া গোষ্ঠী৷ অনারব শিয়া দেশ ইরানের হস্তক্ষেপ আরব দেশ ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রভাবিত করতে পারে এবং ফলে আবারও সেখানে উপদলীয় কোন্দল জোরদার হবে এমন আশংকা বিশ্লেষকদের৷

এদিকে, ইরাকের জাতীয় নির্বাচনের এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির জোট এগিয়ে রয়েছে৷ ১৮ টি প্রদেশের মধ্যে সাতটিতেই এগিয়ে মালিকির নেতৃত্বাধীন ‘স্টেট অব ল' জোট৷ অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াদ আলাওয়ির নেতৃত্বাধীন উদারপন্থি শিয়া দল ‘ইরাকিয়া' এগিয়ে রয়েছে পাঁচটি প্রদেশে৷ ফলে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কয়েক বছর ধরে চলে আসা উপদলীয় কোন্দলের অবসান ঘটবে বলে ইরাকিরা যেমনটি আশা করেছিল, তা হয়তো হচ্ছে না বলেই আশংকা বিশ্লেষকদের৷ বরং পরবর্তী সরকার গঠনে দীর্ঘসময় ধরে ঝুঁকিপূর্ণ আলোচনার প্রয়োজন হবে এমনটিই মনে করা হচ্ছে৷

কায়রো ভিত্তিক ‘সেন্টার ফর গাল্ফ স্টাডিজ' এর মাগিড মাজলুম বলেন, ‘‘নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, এই অঞ্চলে শিয়া গোষ্ঠীর জয়-জয়কার যা এই অঞ্চলে আরব জাতিসত্তার নিরাপত্তার জন্য বেশ হুমকি স্বরূপ৷ এছাড়া আরব অঞ্চলে ইরানের একটি গোপন ভূমিকা রয়েছে৷ তারা শিয়া গোষ্ঠী বিশেষ করে ইরাকে তাদের উত্থানকে সমর্থন করে৷'' ‘‘ইরাকে সুন্নিরা একটি বিচ্ছিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়৷ তারা একদিকে শিয়া এবং অন্যদিকে কুর্দিদের মাঝখানে চাপা পড়ে যাচ্ছে৷ এটা দেশটিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী,'' বলেন মাজলুম৷

আরব আমিরাত অঞ্চল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আব্দুল খালেক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে যে, বিভক্ত আঞ্চলিক শক্তিসমূহ বিভক্ত উপদলীয় সংঘাতপূর্ণ ইরাকে সহজেই অনুপ্রবেশ করতে পারে এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে এগিয়ে আসবে ইরান৷'' আমিরাতের প্রকৌশলী ইয়াসির আহমেদ আলি বললেন, ‘‘আমার দৃষ্টিতে উভয় গোষ্ঠী মিলেমিশে সরকার গঠন করুক৷ এটাই তাদের সামনে থাকা উপায়গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম হবে৷ ফলে একটি মহাজোট সরকারই ভালো হবে৷'' তাঁর মতে, ‘‘ইরান যেমনটি চায় সেরকমই ফল হচ্ছে এবং শিয়া জোটের সরকার হলে তা ইরানের পক্ষেই যাবে৷'' তবে ইরাকের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার অবসান হতে আরো কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন৷

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক