1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে আত্মঘাতী হামলা, নিহত কমপক্ষে ৫৪

২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইরাকে শিয়া তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৫৪ জন৷ সোমবার শিয়াদের পবিত্র স্থান কারবালা অভিমুখে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তীর্থযাত্রীরা৷ এসময় এক মহিলা আত্মঘাতী বোমারু বিস্ফোরণ ঘটায়৷

https://p.dw.com/p/Lp4r
ফাইল ফটোছবি: AP

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১১৭ জন৷ আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাগদাদের পাঁচটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণে কারবালায় একটি ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শিয়া তীর্থযাত্রীরা৷ বাগদাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল কাশেম আট্টা জানান, স্থানীয় সময় পৌনে বারোটার দিকে কারবালা অভিমুখী তীর্থযাত্রীর ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলা চালায় এক মহিলা৷

এদিকে, ইরাকে এই ভয়াবহ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা এই বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ আমি সমগ্র ইরাকি জাতি এবং নিহতদের পরিবারকে আমার গভীর সহানুভূতি জ্ঞাপন করছি৷ এই রক্তাক্ত সন্ত্রাসের ফলে ইরাকে সম্প্রীতির প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া উচিত নয়৷ এবং আমরা এই সন্ত্রাস সত্ত্বেও সেই সম্প্রীতির প্রক্রিয়াকে সাহায্য করবো৷

সোমবারের আত্মঘাতী হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি৷ তবে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি-র কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টি এবং তাদের আল-কায়েদা মিত্ররা এই হামলার সঙ্গে জড়িত৷

ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মোহাম্মদ আল-আসকারি জানিয়েছেন, আত্মঘাতী বোমারু দিয়ালা প্রদেশ থেকে এসেছিল৷ এই প্রদেশটি আগে আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল৷ সেখানে এখনো আঞ্চলিক পর্যায়ে আল-কায়েদার উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান আল-আসকারি৷

প্রসঙ্গত, ইরাকে গত বছর বিভিন্ন ধরণের বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪০০ মানুষ, আহত হয়েছে ১,০০০ জন৷ সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী