1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে মার্কিন সেনাসংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের নিচে

২৪ আগস্ট ২০১০

সাদ্দাম হুসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় ৭ বছর পর গত মাসে ইরাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন কমব্যাট অভিযান শেষ হয়েছে৷ মঙ্গলবার ইরাকে মার্কিন সৈন্যসংখ্যা এই প্রথম ৫০,০০০-এর নিচে নেমেছে৷ তাহলে কি ইরাকে স্থায়ী শান্তি ফিরে আসছে?

https://p.dw.com/p/Ov3y
ছবি: AP

ইরাকে গত কয়েক মাস ধরে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে৷ তার পরেও মার্কিন সৈন্য সংখ্যা কমানো হচ্ছে৷ কিন্তু ইরাকের জন্য এটা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? এটা ঠিক, যে মার্কিন সেনাবাহিনী ধাপে ধাপে ইরাক থেকে প্রত্যাহার করার কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী চালিয়ে যাচ্ছে৷ গত মাস থেকে সক্রিয় সামরিক অভিযানও বন্ধ হয়ে গেছে৷ তারই আওতায় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল রে ওডিয়ের্নো মঙ্গলবার জানান, এই মুহূর্তে সেদেশে ৪৯,৭০০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে৷ মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করছে ইরাকের নিজস্ব পুলিশ ও সামরিক বাহিনী৷ কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনা বানচাল করতে উগ্রবাদীরা গত দুই মাস ধরে আরও বেশি হামলা চালাচ্ছে৷ তারা একদিকে নিজস্ব শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে, অন্যদিকে ইরাকি পুলিশের ক্ষমতাও যাচাই করে দেখতে চাইছে৷ মনে রাখতে হবে, গত ৭ই মার্চ সাধারণ নির্বাচনের পর প্রায় ৭ মাস কেটে গেলেও এখনো নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয় নি৷ এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবকেও কাজে লাগাতে তৎপর উগ্রবাদীরা৷

এখন এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে, ইরাকে এখনো যেসব মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রইলো, তাহলে তাদের কাজ কী হবে? এদিকে এতকাল ইরাকে মার্কিন অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম' – এখন এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন নিউ ডন'৷ আপাতত আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত সৈন্যসংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই৷ তাদের মূল কাজ হবে ইরাকের সরকার ও প্রশাসনকে পরামর্শ দেওয়া এবং তাদের সহায়তা করা৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরের শেষে ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘটার কথা৷ তবে ওয়াশিংটন ইরাকি বাহিনীর উপর নির্ভর করতে চাইলেও ইরাকের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা এখনো কাটছে না৷ ইরাকি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল বাবাকার জেবারি সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, যে তাঁর বাহিনী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত হবে না৷ জেনারেল ওডিয়ের্নো অবশ্য এই মূল্যায়ন সম্পর্কে একমত নন৷ তাঁর মতে, ২০১১ সালের পরেই ইরাকি বাহিনী প্রস্তুত হয়ে যাবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা