1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা – সংবাদভাষ্য

১০ জুন ২০১০

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের ওপর আরো কঠিন অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে৷ এর ফলে ইরানের পরমাণু প্রশ্নকে কেন্দ্র করে বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে মনে হয় না৷

https://p.dw.com/p/Nn0g
আহমাদিনেজাদ’কে এখনো একঘরে করা যাচ্ছে নাছবি: AP

ইরানের বিরুদ্ধে আবারো অর্থনৈতিক বাধানিষেধ আরোপ করা হলো৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইরান ভবিষ্যতে বিদেশে ট্যাংক, জঙ্গি হেলিকপ্টার, যুদ্ধ জাহাজ এবং রকেট ক্রয় করতে পারবে না৷ এছাড়া, ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা ও চল্লিশটিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এবং ইন্সটিটিউট এর বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারির কথা বলা হয়েছে – যারা ইরানের পরমাণু অথবা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত৷ নতুন কঠোর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধের আওতায় এই প্রথমবারের মত বিপ্লবী গার্ডকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে – যারা ইরানের সরকারি ব্যবস্থায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷

ইরানের ওপর অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন সিদ্ধান্তের পরেও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছে৷ তবে নতুন এই সিদ্ধান্তটির সফলতার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে৷

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কের অবসানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু সেসব পদক্ষেপ এ প্রশ্নে তেহরান সরকারকে তার নীতি পরিবর্তন করাতে পারে নি৷ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ এর আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ ও হুমকির মাধ্যমে ইরানে সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা করেছিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল৷ কিন্তু তাতেও তেহরান সরকার তার পরমাণু নীতির পরিবর্তন করে নি৷ বরং প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ তাঁর দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুসরণ করে চলেছেন এবং ইরানি পরমাণু কেন্দ্রগুলোর সার্বক্ষণিক পরিদর্শনে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ এর পরিদর্শকদের অনুমতি দেয় নি৷

তেহরান সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং পরমানু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ না করা এবং আইএইএ এর সাথে যেকোন প্রকারের সহযোগিতার বিরোধিতা করার কথা ঘোষণা করছে৷

ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বাধানিষেধ আরোপের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন সিদ্ধান্ত ইরানের গণতন্ত্রী শক্তির কোন সাহায্যে আসবে না৷ কারণ ঐ প্রস্তাবে ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ নেই৷

প্রতিবেদন: ডানিয়েল শেষকেভিৎস
অনুবাদক: আবদুস সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন