1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রচেষ্টা

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আগামী নভেম্বর মাসে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের নতুন কাঠামো সৃষ্টি করছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলি৷ তবে ওয়াশিংটন সেই পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/35RJZ
ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ
ছবি: picture_alliance/dpa/A. Shcherbak

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে বের করে নিলেও ইউরোপসহ বাকি শক্তিগুলি সেই চুক্তি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর৷ তবে কিছু বাস্তব সমস্যার কারণে বিশেষ করে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পক্ষে সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া কঠিন হচ্ছিল৷ এবার সম্ভবত সেই সব বাধাও দূর হচ্ছে৷

সোমবার জাতিসংঘে এক বৈঠকে পরমাণু চুক্তির অংশীদার দেশগুলি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছে৷ চীন, রাশিয়া, ইরান, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন সেই লক্ষ্যে ‘স্পেশাল পার্পাস ভেহিকেল' বা এসপিভি নামের আর্থিক লেনদেনের এক কাঠামো সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে৷ আগামী নভেম্বর মাসে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের পক্ষে পেট্রোলিায়াম বিক্রি শুরু করা কঠিন হতে চলেছে৷ তার আগে এমন কাঠামো সৃষ্টি করে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে এই দেশগুলি৷ উল্লেখ্য, শীতল যুদ্ধের সময়েও সোভিয়েত ইউনিয়নও বাকি বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে একই রকম কাঠামো ব্যবহার করতো৷ এর আওতায় সরাসরি আর্থিক লেনদেনের বদলে নির্দিষ্ট মূল্যের পণ্য বিনিময় করা হতো৷ এবার ইরান তেল রপ্তানি করে অর্থের বদলে ইউরোপীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে৷ এভাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

জাতিসংঘে বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, এমন কাঠামো সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে৷ এবার বিশেষজ্ঞরা দ্রুত মিলিত হয়ে বিস্তারিত বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করবেন৷ ফলে ইইউ আইন অনুযায়ী ইউরোপীয় কোম্পানিগুলি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবে এবং বৈধভাবে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে৷ বিশ্বের বাকি দেশগুলিও এই কাঠামোর সুবিধা নিতে পারবে৷

এমন কাঠামো শেষ পর্যন্ত সফল হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ অ্যামেরিকার বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় পণ্য বিনিময় অন্তর্গত না থাকলেও ভবিষ্যতে সেই আইন সংশোধন করা সম্ভব৷ এমনটা ঘটলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য আবার বাধার মুখে পড়বে৷ তবে এক ফরাসি কূটনীতিকের মতে, আপাতত ইরানকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়াই ছিল জরুরি বিষয়৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের রোষের মুখে সে দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রা প্রবল চাপের মুখে পড়েছে৷

আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির মতে, ইরান পরমাণু চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলছে৷ অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন চায়, বর্তমান চুক্তি বাতিল করে এমন এক বোঝাপড়া সৃষ্টি করা, যার আওতায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মদত, মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের মতো ইরানের অন্যান্য কার্যকলাপও পড়ে৷ ইরান সরাসরি এমন প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)