1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র'

১৫ মে ২০১৯

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ রাশিয়া সফরে গিয়ে এ কথা বলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3IWrF
Begleitschiffe des Flugzeugträger USS Abraham Lincoln im Sueskanal vor der Küste von Ägypten
ছবি: picture-alliance/Mass Communication Specialist 3r/U.S. Navy/AP/dpa

 ইরানের সাথে এখনই কোনো যুদ্ধের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের৷ রাশিয়া সফরে গিয়ে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ ‘‘আমরা মূলত ইরানের সাথে কোনো যুদ্ধ চাচ্ছি না,'' রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক  শেষে বলেন তিনি৷ ‘‘কিন্তু আমরা ইরানকে এটিও পরিস্কারভাবে জানিয়েছি যে, আমাদের স্বার্থে কোনো আঘাত হানা হলে আমরা অবশ্যই যথাযথ উপায়ে তার জবাব দেবো,'' এমনটাও উল্লেখ করেছেন পম্পেও৷

ওয়াশিংটন পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী ও বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে৷ইরানের সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতেই ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা৷ গত বছর পরামাণু চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরে আসার ঘোষণার পর ওয়াশিংটন তেহরানের উপর নতুন করে অবরোধও আরোপ করেছে৷ অন্যদিকে পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছে ইরানও৷ এ অবস্থায় পারস্য উপসাগরে নতুন যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে৷

সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের ইরান সংক্রান্ত দূত ব্রায়ান হুক৷ ইরানের হুমকি প্রদর্শনের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিরক্ষমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সমস্যা হলো, ইরানের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছাড়া শান্তিপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যের চিন্তা করা অসম্ভব৷ আর তাই ইরানকে আমরা স্বাভাবিক আচরণ করতে বলছি৷''  

রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন

নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র৷ পম্পেও বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থের সত্যিকারের কিছু বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়৷ এ নিয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন পুটিনও৷ ‘‘আমাদের দিক থেকে আমরা বারবার বলেছি যে, পরিপূর্ণ সম্পর্ক পুনরায় চালু করতে চাই আমরা৷ আশা করছি এজন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো তৈরি করা হবে,'' বলেন তিনি৷ তবে পম্পেওর সফরে দুই দেশের মতপার্থক্যগুলোও উঠে এসেছে৷ সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে অবিশ্বাস রয়েছে, তা দুই দেশের নিরাপত্তার জন্যই অন্তরায়৷

পম্পেওর সাথে বৈঠকের শুরুতে পুটিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে দেয়া মুলারের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন৷ বলেন, এটি প্রমাণ হয়েছে, যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷  তিনি আশা করেন দুই দেশের সম্পর্কের যে টানাপোড়েন রয়েছে, সেই পরিস্থিতি আগামীতে বদলে যাবে৷

আলোচনায় ভেনেজুয়েলা ইস্যুও প্রাধান্য পেয়েছে৷ মাদুরোকে সহযোগিতা না দেয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহবান জানান পম্পেও৷ মাদুরো ভেনেজুয়েলার জনগণের জন্য দুর্দশা তৈরি করছে উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, দেশটিতে যাতে গণতন্ত্র ফিরে আসে, যুক্তরাষ্ট্র সেই চেষ্টা করছে৷ ‘‘আমরা আশা করছি মাদুরোকে রাশিয়ার দেয়া সহায়তার অবসান ঘটবে,'' বলেন পম্পেও৷

তবে সংবাদ সম্মেলনেই তাঁর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে লাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ভেনেজুয়েলার সরকারকে যে হুমকি প্রদর্শন করছে তার সাথে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই৷

এফএস/এসিবি (এপি,ডিপিএ,রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য