1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে বিক্ষোভে নিহত ২, পশ্চিমের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ইরানের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ৷ এদিকে, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছে তেহরান৷

https://p.dw.com/p/10HK3
ইরানে বিক্ষোভছবি: AP

সোমবারের ঘটনায় নিহত দুই ও আহত হয়েছে নয় জন নিরাপত্তা কর্মীসহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারী৷ তবে পুলিশের গুলিতে নয় বরং এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গুলিতেই নিহত হয় বলে দাবি করেছেন পুলিশের উপ-প্রধান আহমাদ রেজা রাদান৷ এছাড়া বিক্ষোভের ঘটনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তিনি৷

বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, পিপলস মুজাহিদিন অফ ইরান – পিএমওআই এর দিকে ইঙ্গিত করে রাদান বলেন, ‘‘গতকালের ঘটনায় মুনাফেকিনদের গুলিতে একজন শহিদ হয়েছেন৷'' তাঁর ভাষায়, অবৈধভাবে সমবেত বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের উপর তারা গুলি চালায়৷ এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ অবশ্য বেশ কিছু দাঙ্গাকারীকে আটক করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি৷ তেহরানের বিখ্যাত আজাদি তথা স্বাধীনতা চত্বরসহ বেশ কিছু স্থানে মূলত মিশর ও টিউনিশিয়াসহ আরব দেশসমূহের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি সমর্থন জানাতেই সমবেত হয়েছিল ইরানের মানুষ৷ তবে সমাবেশ থেকে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধেও মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে৷

Iran Tehran Proteste
ছবি: AP

এদিকে, মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয় যে, দেশটির বেশ কিছু সাংসদ বিরোধী নেতাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদানের দাবি তুলেছে৷ বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মির হোসেন মুসাভি, সাবেক স্পিকার মেহদি কারুবি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির বিরুদ্ধেই এই শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা৷

অন্যদিকে, তেহরানে অবস্থিত স্প্যানিশ দূতাবাসের এক কূটনীতিককে সাড়ে চার ঘণ্টা আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তেহরান পুলিশ৷ স্প্যানিশ পত্রিকা ‘এল পাইস' এ বলা হয়েছে, ৪২ বছর বয়সি ঐ কূটনীতিক স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতের সাথে পথে হাঁটছিলেন৷ এমন সময় বিক্ষোভকারীরা ঐ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল৷ সেখান থেকেই তাঁকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়৷

এই ঘটনার পর দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে৷ এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত মারাত্মক' বলে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন স্পেনের পররাষ্টমন্ত্রী ত্রিনিদাদ খিমেনেস৷ এছাড়া মাদ্রিদে নিয়োজিত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোর্তেজা সাফারি নাতাঞ্জিকে তলব করে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন