1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোপ অ্যামেরিকার

২২ অক্টোবর ২০২০

ইরান এবং রাশিয়া মার্কিন ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান।

https://p.dw.com/p/3kGIt
ছবি: Ty Wright/Getty Images

মার্কিন ভোটে হস্তক্ষেপ করছে ইরান এবং রাশিয়া। রীতিমতো প্রেস কনফারেন্স করে এ কথা জানালো অ্যামেরিকার গোয়েন্দা দফতর। তাদের দাবি, মার্কিন ভোটারদের গোপনীয় তথ্য ইরান এবং রাশিয়ার হাতে আছে। সেই তথ্য ব্যবহার করেই ভোটারদের একাংশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাল ইমেল এবং মেসেজ পাঠিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

বুধবার আচমকাই সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেন মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জন রাডক্লিফ। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন যে ইরান, চীন এবং রাশিয়া অ্যামেরিকার ভোটারদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করছে। এ বিষয়ে আগেও তাঁরা বিবৃতি দিয়েছিলেন। এ দিন গোয়েন্দা প্রধান জানান, রাশিয়া এবং ইরানের হাতে ভোটারদের গোপন তথ্য রয়েছে। ইমেল এবং মেসেজের মাধ্যমে তারা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন। জাল ইমেল করা হচ্ছে 'প্রাউড বয়েজ'দের নামে। যেখানে বলা হচ্ছে, ট্রাম্পকে ভোট না দিলে আমরা তোমার বাড়ি পৌঁছে যাব। অর্থাৎ, এমন একটা বাতাবরণ তৈরির করা হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্পকে বর্ণবাদী বলে মনে হচ্ছে। এ ভাবেই অ্যামেরিকার ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের ভয় তৈরির চেষ্টা চলছে বলে গোয়েন্দা বিভাগের বক্তব্য।

সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি ফ্লোরিডা এবং পেনসিলভেনিয়া থেকে এ ধরনের বেশ কিছু ইমেল এবং মেসেজের তথ্য। পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই গোয়েন্দা প্রধান দ্রুত সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। ভোটারদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, এই ধরনের বার্তায় যেন কেউ কান না দেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ইরান এবং রাশিয়ার হাতে তথ্য গেল কী করে? কী ভাবেই বা তারা অপারেট করছে?

নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং রাশিয়া, ইরান এবং চীনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। বলেছিলেন, মার্কিন ভোটে এই দেশগুলির স্পাইরা কাজ করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তার পরেই ভোটের মুখে গোয়েন্দা প্রধানের এ হেন সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে দেখেই এ ধরনের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত বলে ট্রাম্পের ভোট বাড়ানো যাবে না বলেই ডেমোক্র্যাটদের দাবি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)