1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্যাতন সম্পর্কে মুখ খুললেন নারীরা

১৪ জানুয়ারি ২০১৭

দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাবান কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে৷ নারীরাও এখন এ সংক্রান্ত অভিযোগ আনায় উৎসাহী হচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/2Vi0T
ইসরায়েলি নারীরা
ছবি: picture alliance/dpa/J. Hollander

গত ডিসেম্বরে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশে কাতসাভকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়৷ ধর্ষণের দায়ে তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়৷ এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর জেলে কাটিয়েছেন৷ তবে তারপরও নিজের অপরাধ নিয়ে তাঁকে কোনো অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি৷ 

তার আগে গত বছরের জুলাইতে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওফেক বুখরিস৷ তার বিরুদ্ধে তরুণ এক নারী সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে অনুমতি নিয়ে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলা ও আরেক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল৷ তিনি এসব অভিযোগ স্বীকার করে কারাদণ্ড ভোগের হাত থেকে রেহাই পান৷

কিন্তু বুখরিসকে এভাবে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলি নারীরা৷ সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়৷ বিক্ষোভের আয়োজক নোগা শাহার বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন বিচারকের শাস্তির উদাহরণ দিয়ে বলেন, এসব বিষয়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত৷ নোগা শাহার যে বিচারকের কথা বলেছেন তাঁর নাম ইতঝাক কোহেন৷ আদালতের এক নারী কর্মীকে জোর করে নিজের কোলে বসানো ও অনুমতি না নিয়ে তাঁর ব্লাউজের নীচে স্পর্শ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল কোহেনের বিরুদ্ধে৷ ঐ অভিযোগের পর কোহেন তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷ এরপর তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করায় তাঁকে কারাদণ্ড না দিয়ে কমিউনিটি সার্ভিসে অংশগ্রহণ ও ভুক্তভোগীকে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হতে পারে৷

মুখ খুলছেন নারীরা

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, একজন সাংসদ সহ আরও কয়েকজন ক্ষমতাবানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ নোগা শাহার বলছেন, ‘‘এমন না যে হঠাৎ করে এ সব অপরাধ বেড়ে গেছে৷ আসলে যেটা হয়েছে, মেয়েরা এখন আর এ সব বিষয় লুকিয়ে রাখছে না৷ তাঁরা এ সব সবাইকে জানাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে৷''

‘অ্যাসোসিয়েশন অফ রেপ ক্রাইসিস সেন্টার্স ইন ইসরায়েল' বা এআরসিসিআই-এর নির্বাহী পরিচালক ওরিট সুলিতজেনু বলেন, তাদের মতো সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে৷ ২০১৫ সালে তারা ৯,১৯৭ টি অভিযোগ পেয়েছেন৷ ২০১০ সালে সেটি ছিল ৭,৮৫৮৷ অর্থাৎ পাঁচ বছরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

বন্ধু, আপনিও মুখ খুলতে পারেন৷ লিখুন আপনার মন্তব্য নীচের ঘরে৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান