1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল নিয়ে হঠাৎ নরম সুর আংকারার

৬ জুলাই ২০১০

ইসরায়েল তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন জলঘোলা দেখা গেল সোমবার৷ আংকারার যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি এবং পরে আবার সুর নরম করা, সব মিলিয়ে দারুণ নাটক৷

https://p.dw.com/p/OBMw
Lieberman & Davutoglu
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবামান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আখমেত দাভুতোলু – এঁদেরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন কাটাতে হবেছবি: DW/DPA

ইসরায়েলের অবরোধে বন্দি গাজার সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে গত ৩১ মে-এর ইসরায়েলি সেনা হামলা এবং তাতে নয় তুর্কি ত্রাণকর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে নাটক আবার অন্যদিকে ঘুরে গেল সোমবার৷ ইসরায়েল এই ঘটনায় ক্ষমা না চাইলে তুরস্ক তাদের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবে বলে সোমবার হুঁশিয়ারি শোনান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আখমেত দাভুতোলু৷ তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মারফত গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু বেশি রাতে আংকারাই ফের নিজেদের সুর নরম করে বিবৃতি দিয়েছে৷

সুর নরম করা মানে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আখমেত দাভুতোলুর মন্তব্য প্রসঙ্গে আংকারা জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখে ভিন্ন কথা বসানো হয়েছে৷ কড়া হুঁশিয়ারি নয়, দাভুতোলু শুধু বলতে চেয়েছিলেন, ইসরায়েল ক্ষমা না চাইলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আর কোন উন্নয়ন হবে না৷ যার অর্থ, ইসরায়েলের সঙ্গে এখনই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে না তুরস্ক৷

ইসরায়েলের তরফে এই নতুন মন্তব্য এবং তা ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া শোনা যায় নি এ পর্যন্ত৷ আসলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, আত্মরক্ষার জন্যই ওই ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল, সুতরাং এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন অবস্থাতেই ইসরায়েল ক্ষমা চাইবে না৷

ইসরায়েলের ক্ষমাপ্রার্থনাই শুধু নয়, তুরস্কের আরও দাবি, এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের পথ খুলতে হবে ইসরায়েলকে৷ ইসরায়েল সেই দাবিতে তো কর্ণপাত করেই নি, এমনকি আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা হলেও তেল আভিভ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তদন্ত ইসরায়েল নিজেই করবে৷ বাইরের কোন পক্ষকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে দিতে রাজি নয় বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটি৷

এদিকে, গাজার অবরোধ কিছুটা হলেও তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে ইসরায়েল সোমবার৷ বলা হয়েছে, অস্ত্র এবং সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোন জিনিস ছাড়া অন্যসব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গাজায় যেতে পারবে৷ গাজার শাসনভারের দায়িত্বে থাকা হামাস এই নতুন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, গাজার অবরোধ সম্পূর্ণ মুক্ত করাটাই তাদের একমাত্র দাবি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন