1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরো-ডেভস এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম চুক্তি বাতিল

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা ‘অন্তরীক্ষ’র সঙ্গে ডেভস মাল্টিমিডিয়ার বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হবার পর আজ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/10ITT
ISRO, India, Space
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো একটি রকেটছবি: AP

মহাকাশ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অন্তরীক্ষ ও ব্যাঙ্গালোরের বেসরকারি সংস্থা ডেভস মাল্টিমিডিয়ার মধ্যে এস-ব্যান্ড স্পেকট্রাম লিজ-চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত আজ নিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি৷ সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ মাত্র এক হাজার কাটি টাকায় ঐ বেসরকারি সংস্থাকে এস-ব্যান্ডের ৭০ মেগাহার্জের বেশি স্পেকট্রাম দেয়া নিয়ে সমালোচনার যে ঝড় উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত৷ চুক্তি বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করে আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেন, এই মূল্যবান ও দুর্লভ এস-ব্যান্ড স্পেকট্রামের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারের পক্ষে অন্য কোন সংস্থাকে এস-ব্যান্ড দেয়া সম্ভব নয়৷ উল্লেখ্য, অন্তরীক্ষ ও ডেভস মাল্টিমিডিয়ার মধ্যে এই চুক্তি হয় ২০০৫ সালে৷

এই চুক্তির লাভ-লোকসানের দিকটি ছিল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু৷ প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়, চুক্তি কার্যকর হলে সরকারের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াতো প্রায় দু'লক্ষ কোটি টাকা৷ কারণ টেন্ডার না ডেকে ঐ বেসরকারি সংস্থাকে মাত্র এক হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ২০ বছরের জন্য বিনামূল্যে এস-ব্যান্ড অর্থাৎ মহাকাশ বেতার তরঙ্গ ব্যবহারের সুবিধা দেয়া হয়, যেটা মোবাইল ইন্টারনেটে কাজ লাগানো হতো৷ প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, চুক্তি যখন কার্যকর হয়নি তখন লোকসানের প্রশ্ন ওঠে না৷

এই চুক্তি বাতিল করায় ঐ বেসরকারি সংস্থা আদালতে যাবে বলেছে৷ সংস্থার মতে, বিনা তদন্তে একতরফাভাবে এই চুক্তি রদ করা ন্যায়বিচারের খেলাপ৷ আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেন, সিদ্ধান্ত নেবার সময় সরকার আইনের সবদিক খতিয়ে দেখেছেন৷ সংস্থা আদালতে গেলে কোন ফল হবেনা৷ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধান বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশী বলেন, এই সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে অনেক কম৷ চুক্তি রদ করার চেয়ে এর তদন্ত হওয়া দরকার যে এই চুক্তি তৈরি করেছিল কে বা কারা? ঐ বেসরকারি সংস্থাটির পেছনে বিদেশি সংস্থার বিনিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি৷ উল্লেখ্য আমেরিকা ছাড়া ঐ সংস্থায় লগ্নি করেছে ডয়চে টেলিকম৷ বিজেপির অভিযোগ, এইসব উপগ্রহ দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ব্যবহার করে, তাই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এই ধরণের চুক্তি বিপজ্জনক৷

চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকেও আঙ্গুল তুলেছে বিরোধী পক্ষ৷ কারণ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন