1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইসলামী রীতি' না মানায় তেহরানে কয়েকশ' রেস্টুরেন্ট বন্ধ

১০ জুন ২০১৯

ইরানের রাজধানীতে মোট ৫৪৭টি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ রাজধানীর পুলিশ প্রধান বলেছেন, ইসলামী রীতি মানা হচ্ছে কি না তা দেখা পুলিশের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব৷ 

https://p.dw.com/p/3K7jR
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Noroozi

শনিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে তেহরান পুলিশ প্রধান হোসেন রাহিমি প্রকাশিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেতে ইসলামিক রীতি অনুসরণ করা হয়নি, সেগুলোর মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ এ অভিযানে ৫৪৭টি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করা  হয়েছে এবং ১১ জনকে আটক করা হয়েছে৷''

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে যে, গেল ১০ দিন যাবৎ এই অপারেশন চালানো হয়৷

ফারসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘এই রেস্টুরেন্টগুলো ইন্টারনেটে অপ্রচলিত পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, অবৈধ সঙ্গীত বাজিয়েছে এবং ব্যভিচার করেছে৷''

এদিকে, পুলিশ প্রধান রাহিমি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘‘ইসলামিক রীতি পালন হচ্ছে কি না... তা দেখা পুলিশের প্রধান উদ্দেশ্য ও দায়িত্বগুলোর একটি৷''

অন্যদিকে, শনিবার তেহরানের আচরণ নিয়ন্ত্রণ আদালত বা গাইডেন্স কোর্ট যারা কি না ‘সাংস্কৃতিক অপরাধ এবং সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয়' নিয়ে কাজ করে, তারা তেহরানের অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে, ‘মূল্যবোধ বিবর্জিত আচরণ' কোথাও ঘটতে দেখলেই যেন তা তাদের অবহিত করা হয়৷ টেক্সট মেসেজ দিয়ে জানাবার জন্য একটি ফোন নম্বরও দিয়েছে তারা৷

‘‘জনগণ এসব বিষয় অবহিত করতে চান, কিন্তু উপায় জানেন না,'' বিচার বিভাগের নিউজ এজেন্সি মিজান অনলাইনকে বলেন কোর্টের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মেহদি হাজমোহাম্মাদি৷

তিনি বলেন যে, ‘গাড়িতে কেউ হিজাব' খুলে ফেললেন কি না, নারী-পুরুষদের ‘যৌথ নাচের অনুষ্ঠান' আয়োজন করা হলো কি না কিংবা ইনস্টাগ্রামে কেউ ‘অশোভন ছবি' প্রকাশ করলেন কি না, এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন নাগরিকরা৷

ইরানের ইসলামী পোশাক রীতি অনুযায়ী, নারীরা প্রকাশ্যে কেবল তাদের মুখ, হাত ও পায়ের অগ্রভাগ খোলা রাখতে পারবেন৷ তারা উজ্জ্বল পোশাক পরতে পারবেন না৷

জেডএ/কেএম (এএফপি)