1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনে ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু!

২১ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন' বুধবার জানিয়েছে, ইয়েমেনে ক্ষুধা ও রোগে ভুগে পাঁচ বছরের কমবয়সি প্রায় ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে৷ ২০১৫ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে যুদ্ধ চলছে৷

https://p.dw.com/p/38fQ7
Hungersnot im Jemen
ছবি: Reuters/K. Abdullah

জাতিসংঘের হিসেবে, ইয়েমেনের ১৩ লক্ষের বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে৷ সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, তারা অতীত গবেষণার ভিত্তিতে শিশুমৃত্যুর এই সংখ্যা বের করেছে৷ ঐ সব গবেষণায় জানা গেছে, চিকিৎসা না পাওয়া ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীর সাধারণত মৃত্যু হয়ে থাকে৷

সেভ দ্য চিলড্রেন-এর ইয়েমেনের পরিচালক তামার কিরোলস বলেন, ‘‘বোমা ও বুলেটের আঘাতে শিশুর যেমন মৃত্যু হচ্ছে, তেমনি খাবারের অভাবেও অনেক শিশু মারা যাচ্ছে, যা সহজেই ঠেকানো যায়৷''

ইয়েমেনে এত শিশুর মৃত্যুর জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন অবরোধকে দায়ী করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন৷

হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকেইয়েমেনের উপর জল, স্থল ও আকাশপথে অবরোধ শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট৷ হুতি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করলে অবরোধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় সৌদি আরব৷

অবরোধ ছাড়াও হোদাইদা বন্দরকে ঘিরে যে যুদ্ধ চলছে সেটিকেও শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে দায়ী করছে ইয়েমেন৷ বন্দরটি এখন বিদ্রোহীদের দখলে আছে৷ এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ খাবার ও ত্রাণ আমদানি করে থাকেইয়েমেন৷

সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, হোদাইদা বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে ৫৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পণ্য খালাস কমে গেছে৷ এই পরিমাণ পণ্য দিয়ে প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে জানায় সংস্থাটি৷

সম্প্রতি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের উপর থেকে তার সমর্থন সরিয়ে নিয়েছে৷ চলতি মাসের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিথস বলছেন, ‘শিগগিরই' দুই পক্ষ শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, এএফপি)