ইয়েমেন: যুদ্ধের বাইরে আর এক যুদ্ধ
ইয়েমেনে তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে লাখো মানুষ খাদ্যাভাবে রয়েছে৷ কয়েক লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত৷ এর সাথে যোগ হয়েছে মারণব্যাধি ক্যানসার৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইয়েমেনে বর্তমানে ৩৫ হাজার মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত৷
ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে৷ লাখো মানুষ খাদ্যাভাবে রয়েছে, দেখা দিয়েছে কলেরা, ডিপথেরিয়া এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগ৷
প্রতি মাসে নতুন রোগী
সানা’র ন্যাশনাল অনকোলজি সেন্টারে প্রতি মাসে অন্তত ৬০০ জন নতুন ক্যানসার রোগী ভর্তি হচ্ছেন৷ গত বছর হাসপাতালটি আন্তর্জাতিক ও সরকারি সহায়তা পেয়েছে মাত্র ১০ লাখ ডলার৷
সরকারি সহায়তা অপ্রতুল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর আগে হাসপাতালটি প্রতি বছর দেড় কোটি মার্কিন ডলার সরকারি সহায়তা পেতো৷ বাজেটে একটি অংশ থাকতো অনকোলজি সেন্টারসহ পুরো দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য কেমোথেরাপি চিকিৎসা, ক্যানসারবিরোধী ওষুধ ইত্যাদি কেনার জন্য৷
ব্যয়বহুল চিকিৎসা
ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূল থেকে মায়ের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য হোডাইডাহ শহরের একটি ক্লিনিকে এসেছেন মোহাম্মেদ আল হোসামি৷ চিকিৎসায় সাহায্য করেছেন তাঁর গ্রামের মানুষ৷ তিনি জানালেন, ক্যানসারের চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল এবং সব মানুষের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়৷
চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক মা তাঁর সন্তানকে নিয়ে রাজধানী সানা’র জাতীয় অনকোলজি সেন্টারে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন৷
ক্যানসার আক্রান্ত শিশু
এই ছবিতে এক ক্যানসার আক্রান্ত শিশুকে দেখা যাচ্ছে৷ শিশুটির হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো৷
শিশুদের জন্য স্বল্প স্থান
শিশুদের জন্য হাসপাতালে খুব কম সংখ্যক ‘বেড’ রয়েছে৷ অনেক রোগীকে হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় চেয়ারে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে, যাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট৷
ক্যানসার আক্রান্ত আরেক শিশু
ছবিতে ন্যাশনাল অনকোলজি সেন্টারের বেডে শুয়ে আছে ক্যানসার আক্রান্ত ছোট্ট এই মেয়েটি৷
রেডিয়েশন থেরাপি
অনকোলজি সেন্টারের রেডিয়েশন থেরাপি কক্ষে একজন ক্যানসার রোগী৷
বন্ধ হতে পারে ক্যানসার হাসপাতাল
আল আমাল সেন্টার ফর ক্যানসার ট্রিটমেন্ট-এর প্রধান ইয়াসির আবদুল্লাহ নূর রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোডাইডাহ-র এ হাসপাতালটিতে ৫ হাজার ৩০০’র বেশি ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণের অভাবে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের৷ সরকারি সহায়তা না পেলে হয়ত খুব শিগগিরই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি৷