1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইন্ড টানেলে ডাউনহিল স্কিইং

৩০ জানুয়ারি ২০১৭

স্কি খেলায় একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ‘পশ্চার' বা স্কিগুলোর উপর দাঁড়ানোর ভঙ্গি, কেননা তা দিয়ে বায়ুর প্রতিরোধ বেশ কিছুটা কমানো যায়৷ আর বায়ু প্রতিরোধ পরীক্ষা করার সেরা জায়গা হল উইন্ড টানেল৷

https://p.dw.com/p/2WWnw
Deutschland Sport DLR testet Paralympics-Skifahrer im Windkanal
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান জাতীয় দলের স্কি খেলোয়াড়রা ডাউনহিল স্কিইং করার সময় তাঁদের ‘পশ্চার' বা দাঁড়ানোর ভঙ্গি উইন্ড টানেলে পরীক্ষা করে দেখতে চান৷

স্কি খেলোয়াড় আন্ড্রেয়াস জান্ডার বললেন, ‘‘আমি কোনোদিন উইন্ড টানেলে দাঁড়াইনি৷ আমি শুধু জানি যে, বরফের ওপর আমার ‘স্কোয়াট'-এ মাঝেমধ্যে বেশ ভালো স্পিড ওঠে৷ কিন্তু আমার দাঁড়ানোটা আরো এয়ারোডাইন্যামিক হতে পারে৷ আমি দেখতে চাই, আমি কীভাবে আরো স্পিড বাড়াতে পারি৷''

‘স্কিয়ার'-রা পুরো ড্রেস পরে উইন্ড টানেলে দাঁড়াবেন৷ পায়ের স্কিগুলোই স্ট্যান্ড হিসেবে কাজ করবে৷ প্রত্যেক স্কি খেলোয়াড়ের জন্য আলাদাভাবে লাগানো হবে তাঁর স্কি, বসানো হয়ে পায়ের জুতো, কেননা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের শরীরের গঠন ও স্কি খেলার শৈলী আলাদা৷ সেগুলো আরো যুৎসই করার চেষ্টা করা হবে৷

ট্রেনিং শুরু হলো৷ ডাউনহিল আর সুপার জি রেস দু'টিতে স্কি খেলোয়াড়দের গতি ওঠে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার অবধি৷ স্কি-এর ওপর দাঁড়ানোর ভঙ্গির ওপর হারজিত নির্ভর করতে পারে৷ হাতের পোজিশনগুলো ঠিক আছে তো? স্কি খেলোয়াড় আর তাদের ট্রেনাররা প্রতিটি খুঁটিনাটির দিকে নজর রাখেন৷

ট্রেনার কার্ল-হাইৎস ভাইবেল জানালেন, ‘‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এক সেকেন্ডের একশ' ভাগের এক ভাগের ব্যবধানে হারজিত নির্ধারণ হয়ে যায়৷ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে নামার সময় স্কিয়ারের হাত দু'টো যদি ভুল পজিশনে থাকে, তাহলে বাতাসের প্রতিরোধ বেশি হতে পারে৷ ৪০ সেকেন্ডের ডাউনহিলে এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ বেশি সময় লেগে যেতে পারে৷''

স্কি জাম্পার-রাই বা বাদ যাবেন কেন

জার্মান স্কি জাম্পার-রাও উইন্ড টানেল ব্যবহার করে থাকেন – কেননা স্কি জাম্পের ব়্যাম্প থেকে নামার সময় ভাববার অবকাশ থাকে না৷ উইন্ড টানেলে স্কি জাম্পাররা শান্তিতে তাঁদের ‘পশ্চার' বা উড়ালের ভঙ্গি নিশ্চিন্তে শুধরে নিতে পারেন৷ এমনকি তারা চোখ বুজে লাফ দেওয়া অভ্যাস করেন, যাতে শরীর নিজে থেকেই তার সঠিক ওড়ার ভঙ্গিটা খুঁজে নিতে শেখে৷

স্কি জাম্পার রিশার্ড ফ্রাইটাগ বললেন, ‘‘আমরা ব়্যাম্প থেকে ঝাঁপ না খেয়েই উড়ালটা প্র্যাকটিস করতে পারি৷ কয়েক মিনিটের জন্য উইন্ড টানেলে দাঁড়ানো যায়, বা পর পর কয়েকবার প্র্যাকটিস করা যায়৷ এভাবে নিজের ফর্মটা ঠিক করা যায়৷''

এরকম ট্রেনিংয়ে মজা আছে, আবার তা কার্যকরিও বটে৷ কেননা ‘পশ্চার' বা দাঁড়ানোর ভঙ্গি ঠিক না হলে, জাম্পের দূরত্বও খুব বেশি হবে না, কাজেই জেতার আশা থাকবে না৷ স্কি খেলোয়াড়রা উইন্ড টানেলে নানা ধরনের পোশাকআশাক আর স্কি বাইন্ডিং-ও পরীক্ষা করে থাকেন৷ এ জন্য সারা বিশ্ব থেকে খেলোয়াড়রা এখানে আসেন৷

ট্রেনিংয়ের সমস্ত খুঁটিনাটি কম্পিউটারে ধরা থাকে৷ কে জানে, উইন্ড টানেলে স্কি অভ্যেস করা হয়তো পরবর্তী সোনা অথবা রুপোর মেডেল এনে দিতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান