1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাধার মুখে বিআইডব্লিউটিএ

১১ জুলাই ২০১৯

ঢাকার নদ–নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় বাধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে পিছপা হয়নি বিআইডব্লিউটিএ৷ পুলিশি পাহারায় অভিযান পরিচালনা করেছেন সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/3LuNm
Kolumbien Sandabbau
ছবি: Getty Images/AFP/G. Legaria

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরকারি সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দীন৷ তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার মূল হোতা পালিয়ে গেলেও দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট আটক দুইজনের প্রত্যেককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন৷

তবে বাধার মুখে পিছপা হয়নি বিআইডব্লিউটিএ৷ পুলিশি পাহারায় অভিযান পরিচালনা করেছেন সংস্থাটি৷

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের বরাতে জানা গেছে, অভিযান শুরুর আগে ওই এলাকার প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদ ওরফে রিপন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে শ্মশানঘাটে অবস্থান নেন। অভিযান শুরু হলেই দায়িত্বরতদের ওপর চড়াও হন তাঁরা। একপর্যায়ে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন। তবে কেউ গুরুতর আহন হননি বলেও জানায় বিআইডব্লিউটিএ৷

ঘটনার বর্ণনায় এ কে এম আরিফ উদ্দীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সকালে উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিতভাবে চড়াও হয় দখলদাররা৷ অতর্কিত হামলার কারণে বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তারা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন৷'' পরে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দখলদারদের প্রতিহত করে অভিযান চালানো হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা৷

BIWTA ARIF - MP3-Stereo

এ ঘটনায় পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদকেই দায়ী করছে বিআইডব্লিউটিএ৷ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নদী ভরাট করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছে ইব্রাহিম৷ বুধবার বিকেলে বালুর গদি অপসারণ করতে গেলে বাধা দেয়া হয়। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ও আশপাশের এলাকায় শুল্ক আদায় ও মালামাল ওঠানো-নামানোর জন্য স্থানীয় ইকবাল আহমেদকে ইজারা দেয়া হয়েছিল। ইকবাল স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম আহমেদের ছোট ভাই। এর আগেও ইকবাল আহমেদের বাধার কারণে সেখানে অভিযান চালাতে বেগ পেতে হয়৷

ঘটনাস্থল থেকে মূল হোতারা পালিয়ে যায় বলে জানান এ কে এম আরিফ উদ্দীন৷ তিনি বলেন, তাঁদের আটকের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে৷ এর আগেও, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাটিকে৷ তবে এতোটা তীব্র বাধা ও হামলার মুখে কখনো পড়তে হয়নি বলেও জানান বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক৷

অভিযানে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু তা আমলে নিচ্ছেন না আরিফ উদ্দীন৷ তিনি বলছেন, শুরুতে পুলিশ কম থাকলেও, শ্যামপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছেন৷ এছাড়াও ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়েছেন৷

আরিফ উদ্দীন আরো জানান, ২৯ জানুয়ারি থেকে ঢাকার চারপাশের নদ–নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে৷ ২৫ জুলাই পর্যন্ত আরো ছয় কার্যদিবসে এই অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি৷ তবে দরকার হলে অভিযানের সময়সীমা আরো বাড়ানো হতে পারেও বলেও মন্তব্য করেন বিআইডব্লিউটিএ-এর এই যুগ্ম পরিচালক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য