1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরাধিকারের স্বার্থে স্থিতিশীলতা আনতে নমনীয় হচ্ছেন জং ইল

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে দীর্ঘ বৈরিতার মাত্রাটি কমিয়ে উত্তর কোরিয়া সেদেশে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/PPwD
উত্তরাধিকারের স্বার্থে স্থিতিশীলতা আনতে নমনীয় হচ্ছেন জং ইলছবি: AP

দেশটির ভবিষ্যৎ শাসক হিসেবে ক্ষমতাসীন দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন কিম জুনিয়র৷ অনেকে বলছেন, উত্তরাধিকার বেছে নিয়ে দেশটির ভবিষ্যৎ শাসকের স্থানটি পোক্ত করতেই বর্তমান শাসক কিম জং ইল নতুন একটি পদ সৃষ্টি করে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র জং উনকে সেখানে বসিয়েছেন৷ এমনকি উত্তরের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদটিতেও তাঁকে অধিষ্ঠিত করেছেন৷ দেশটির দীর্ঘ স্বৈরতন্ত্রে ভবিষ্যৎ শাসক হিসেবে কিম জং ইলের পরে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র কিম জং উন এর আসনটি পাকাপোক্ত করার পাশাপাশি চলমান খাদ্য সংকট, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বিষয়টিও উত্তর কোরিয়া'র এই সাম্প্রতিক মনোভাবের পেছনে ভূমিকা রেখেছে৷

বিশ্লেষকদের ধারণা, কমিউনিস্ট শাসিত এই দেশটির এমন সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণটি হচ্ছে কিম জং ইলের কনিষ্ঠ পুত্র কিম জং উনের নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ৷ দারিদ্র পীড়িত অথচ পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান এই কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির ক্ষমতাসীন দলের সর্বশেষ সম্মেলনটি হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে, যখন কিম জং ইল তাঁর পিতার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন৷ বোঝাই যাচ্ছে, আবারো পিতা থেকে পুত্রে রাষ্ট্রভার অর্পণের নিমিত্তেই এই সম্মেলন৷ আর পুত্র যাতে দেশে একটি স্থিতিশীলতা পান, সে লক্ষ্যেই কিম জং ইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কথা বলে চাইছেন৷

সমঝোতার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই উত্তর কোরিয়া খানিকটা এগিয়েছে৷ দু'দেশের সীমান্ত জুড়ে বিরাজমান উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এই বুধবার দুই কোরিয়ার সামরিক কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসছেন৷

সৌলের ডংউক বিশ্ববিদ্যালয়ের কো ইউ হন বলেছেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে পরিবেশ স্থিতিশীল করতে উত্তর কোরিয়াকে অবশ্যই তার দেশের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার পাশাপাশি বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হবে৷

কেউ কেউ বলছেন, শারীরিকভাবে ইদানিং অশক্ত হয়ে পড়লেও দেশটির বর্তমান শাসক কিম জং ইল আশা করছেন, আগামী বছর দুয়েক তিনি বহাল তবিয়তেই তাঁর শাসনকাজ চালিয়ে যেতে পারবেন৷ আর এরমধ্যেই তিনি সমুদয় দায়িত্ব কিম জং উনকে বুঝিয়ে দিয়ে তাঁকে শাসন ক্ষমতায় পাকাপোক্তভাবে বসাতে পারবেন৷ সম্ভবত সে লক্ষ্যেই মার্কিন অংশের সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন