1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বোঝাপড়া নিয়ে বিভ্রান্তি

১৪ জুন ২০১৮

ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকের সাফল্য সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত সে দেশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ পিয়ং ইয়ং অবশ্য ভিন্ন প্রত্যাশা করছে৷

https://p.dw.com/p/2zW99
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb

উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে যাবতীয় উচ্ছ্বাস সত্ত্বেও সে দেশের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে না৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়া যাচাই করে যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে, যে উত্তর কোরিয়া আবার নতুন করে পরমাণু কর্মসূচি শুরু করতে পারবে না, তখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলে তিনি আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্রাম্প-কিম বৈঠক সম্পর্কে আলোচনার সময় এই মন্তব্য করেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন ছাড়াও তিনি সে দেশ ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷

ট্রাম্প-কিম বৈঠকে বোঝাপড়া নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে৷ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, সে দেশ ধাপে ধাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে অগ্রসর হবে৷ অন্যদিকে অ্যামেরিকাও ধাপে ধাপে তাদের ছাড় দেবে৷ মার্কিন প্রশাসন অবশ্য এমন মূল্যায়ন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি৷ তাছাড়া ট্রাম্প নিজে আচমকা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখার ঘোষণা করায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান অস্বস্তিতে পড়েছে৷ এমনকি মার্কিন সেনাবাহিনীও এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করছে৷ পম্পেও বলেন, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম কার্যকাল শেষ হবার আগেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করবে বলে তিনি আশা করছেন৷ এর মধ্যে সে দেশ আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা না করলে যৌথ মহড়া আবার শুরু করা যেতে পারে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন ট্রাম্প-কিম বৈঠকের ইতিবাচক মূল্যায়ন করে বলেন, এর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো, গোটা বিশ্ব যুদ্ধের হুমকি থেকে রেহাই পেয়েছে৷

উল্লেখ্য, ট্রাম্প নিজেও বুধবার এক টুইট বার্তায় একই বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন৷ এমনকি উত্তর কোরিয়া আর কোনো পরমাণু হুমকি নয়, এমন আস্থাও প্রকাশ করেছেন তিনি৷ সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেন, যাবতীয় ইতিবাচক ঘটনা সত্ত্বেও অ্যামেরিকা চোখকান খোলা রাখছে৷ তিনি স্বীকার করেন যে, অ্যামেরিকার উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত কাজ না-ও করতে পারে৷

ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে আরও আলোচনা ও সেগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে দুই দেশকে সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে চীন৷ বৃহস্পতিবারই পম্পেও আলোচনার জন্য বেইজিং পৌঁছাচ্ছেন৷ উত্তর কোরিয়ার কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও বেইজিং যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে বৃহস্পতিবারই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে৷ গত ১০ বছরে এমন আলোচনা হয়নি৷

এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-ও পিয়ং ইয়ং সফর করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ সম্ভবত আগস্ট মাসে এই ঐতিহাসিক সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ মঙ্গোলিয়ায় এক নিরাপত্তা সম্মেলনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য