উলফার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি
২১ জুলাই ২০১০ব়্যাবের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, আটক উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদের সময় নানা চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন৷ বাংলাদেশে আটক উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরীকে এখন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সামরিক প্রশিক্ষণ এবং বিচ্ছিনতাবাদী তৎপরতার ব্যপারে তথ্য দিচ্ছেন৷ জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তা ব়্যাবের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল ডয়চে ভেলেকে জানান, রঞ্জন চৌধুরীর ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ রয়েছে৷ তার মধ্যে রয়েছে একে-৪৭, মেশিন গান, পিস্তল , রিভালবার,গ্রেনেড প্রভৃতি৷ ১৯৯১ সালে ভারত উলফা নিষদ্ধ করলে তিনি আত্মগোপন করেন এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আসাম এবং মেঘালয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম চালান বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
ব়্যাব পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ও ভারত প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য উলফা সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে৷ তারা নানা পরিচয় এবং নানা কৌশলে এখানে অবস্থান করে৷
তবে বাংলাদেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ কোন বিচ্ছিনতাবাদী বা অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে জায়গা দেয়া হবে না৷ এ কারণে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা শেরপুর, কুড়িগ্রাম,কিশোরগজ্ঞ, হালুয়ঘাটে নজরদারী জোরদার করা হয়েছে, বলেন কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক