1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এই মাসেই ফিরতে হবে কোকোকে

২০ আগস্ট ২০১০

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্যারোলে মুক্ত আরাফাত রহমান কোকোকে দেশে ফিরতে হবে এই মাসেই৷ আত্মসমর্পণ করতে হবে আদালতে৷

https://p.dw.com/p/Osa0
আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোকোকে (ফাইল ছবি)ছবি: AP

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোকো ৩১ আগস্টের মধ্যে ব্যাংকক থেকে না ফিরলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ অন্যদিকে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার হিংসার বশবর্তী হয়ে কোকোর প্যারোল বাতিল করেছে৷

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার কোকো ওই সরকারের আমলেই প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান৷ এরপর বেশ কয়েক দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই সরকার ছয়টি শর্তে কোকোকে প্যারোলে মুক্তি দেয়৷ বর্তমান মহাজোট সরকার এখন বলছে, কোকো ওই শর্ত ভঙ্গ করেছেন৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্যারোল বাতিলের কারণ হিসেবে ৫ নম্বর শর্ত ভঙ্গের কথা বলেছে৷ ওই শর্তে বলা হয়েছে, তিনি থাইল্যান্ডে থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং সেখানে তিনি কোথায় থাকবেন, তার সঙ্গে কারা থাকবেন, তা সেখানকার বাংলাদেশ মিশনকে নিয়মিতভাবে জানাতে হবে৷ মন্ত্রণালয় বলছে, আরাফাত তা করেননি৷ তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই রাখেননি৷ এছাড়া তিনি অনুমতি না নিয়ে ব্যাংকক থেকে সিঙ্গাপুরও যাচ্ছেন৷

আইনজীবীর মাধ্যমে কোকোর করা আবেদনে এতদিন তার প্যারোলের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছিল৷ তবে তার আইনজীবী সর্বশেষ যে আবেদন করেছেন, তাতে গত নভেম্বরের চিকিৎসা সনদপত্র দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানান৷ শুক্রবার স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, আরাফাত রহমান কোকো'র প্যারোল বাতিল করে তাকে ৩১শে আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে৷ তিনি এ আদেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

এদিকে দলীয় চেয়ারপার্সনের ছেলের প্যারোল বাতিলের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি৷ দলের নেতা মির্জা ফকরুল দাবি করেন, সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নজির৷ তিনি বলেন, ‘‘আরাফাত রহমান এখনো গুরুতর অসুস্থ৷'' তবে কোকো ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরবেন কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি ফকরুল৷

আরাফাত ব্যাংককে থাকা অবস্থায় গত ১৭ই মার্চ তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন৷ তার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম