1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে...

১৯ জানুয়ারি ২০১১

খোদ কলকাতা শহরের বহু কিশোর তরুণ থাকে দারিদ্রসীমার নিচে, যাদের অনেকেরই ঠিকানা বস্তি অথবা ফুটপাথ৷ এদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেজন্য বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে কলকাতা পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/zzTF
এদের মত অনেকেরই হয়তো কোনওদিন স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ হয়নাছবি: Debarati Mukherji

কলকাতার অনেক পুলিশ ফাঁড়িতেই এখন চোখে পড়ে ওদের পাঠশালা৷ নানা বয়সের ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত পড়াশোনা করতে আসে যেখানে৷ এরা কেউ স্কুলছুট, আবার কারও হয়তো কোনওদিন স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ হয়নি৷ এরা এই শহরের নবীন প্রজন্ম যারা বড় হয়ে উঠছে বিভিন্ন বস্তিতে, এমনকী পথের ধারেও৷ এদের শিক্ষার অধিকার সুরক্ষিত করাই ছিল কলকাতা পুলিশের এই স্কুলগুলোর উদ্দেশ্য৷ এবছর সুখবর যেটা হল, এদের বেশ কিছু স্কুল সরকারি সাহায্যে পুরো সময়ের পূর্ণাঙ্গ স্কুল হয়ে যেতে চলেছে৷ যদিও শুরুটা আদৌ সহজ ছিল না৷ জানালেন কলকাতার নগরপাল গৌতম মোহন চক্রবর্তী৷

শহরের কিশোর তরুণেরা যাতে বিপথগামী না হয়ে যায়, কেউ যাতে কোনও অপরাধমূলক কাজে এদের ব্যবহার না করতে পারে, বা এরা যাতে কোনওভাবে হেনস্থার শিকার না হয়, সেজন্য আরও একটা প্রকল্প চালু করেছিল কলকাতা পুলিশ৷ পাড়া ফুটবল৷ স্থানীয় থানার উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা৷ শুরুতে এই উদ্যোগ বিদ্রুপের শিকার হলেও এখন খাস লন্ডনের পুলিশ এই মডেল অনুসরণ করছে৷

অনগ্রসর সামাজিক শ্রেণির যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে আরও একটি সফল উদ্যোগের কথা জানালেন নগরপাল নিজেই৷

যাদের কথা কেউ ভাবে না, কিন্তু কোনও সামাজিক বিচ্যুতির দায় সবার আগে এসে পড়ে যাদের ঘাড়ে, কলকাতার সেই পথবাসী নবীন প্রজন্মের দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ কে বলতে পারে একদিন এই নবীনদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবে এক নতুন ভারত৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ