1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা

২ জুলাই ২০১৬

ঢাকার গুলশানে জিম্মি ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যুতে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ অনেকেই জানিয়েছেন শোক, সমবেদনা৷ কেউ কেউ নিন্দা জানিয়েছেন দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের, যাদের কারণে জিম্মিদের জীবন সংকটে পড়তে পারতো৷

https://p.dw.com/p/1JHwR
বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার পর...
ছবি: picture-alliance/AP Photo

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শিল্পী, সাধারণ মানুষ সবাই প্রার্থনা করছে বাংলাদেশের জন্য, ঢাকার জন্য৷ গুলশানের ঐ ক্যাফেতে ২০ বিদেশিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর৷ তারা বলেছিল, বাংলাদেশি থাকতে পারে৷ অবশেষে বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশিদের নামও৷

ব্যান্ড শিল্পী মাকসুদ টুইট করেছেন, যে ২৬ জনের নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে, আমার বন্ধু ইশরাত আখন্দ তাদের একজন৷

দৃকের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম নিশ্চিত করেছে ইশরাতের মৃত্যুর খবরটি৷

বাংলাদেশের কমেডিয়ান নাভিদ মাহবুবও লিখেছেন ইশরাতের কথা৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক জানিয়েছেন৷

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গুলশান ক্যাফের হামলায় তারুষী নামে এক ভারতীয় কিশোরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন৷

নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী কমল থাপা এ ঘণ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন এ ঘটনার সময় বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন৷

ভারতের অমৃতি ভিন্দর লিখেছেন, এটা কেবল বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা নয়, ভারতের জন্যও৷

ভারতের কলামিস্ট অশোক মালিক লিখেছেন, ‘‘সিএনএন খুব সহজেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা দিয়েছে৷ অনেকটা না জেনে বুঝেই৷''

ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন জিম্মিদের কে কী করছেন, কোথায় আছেন, কী বলছেন এ সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি প্রচার করছিল৷ এ সম্পর্কে জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকসান্দ ধ্রুব গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সাংবাদিকতার নীতি ও সাধারণ জ্ঞান থাকলেই বোঝা যায় এমন একটা অভিযান যখন চলছে, যেখানে পুরো জাতির নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত সেখানে যেকোন খবর প্রকাশের আগে একবার ভাবা উচিত৷ তিনি কয়েকটি টিভি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, নিরাপত্তাবাহিনী কে কোথায় অবস্থান নিয়েছে, একটি পত্রিকা আটকে পড়া মানুষের অবস্থানের কথা জানাচ্ছেন৷ টিআরপি বাড়ানোর জন্য আর কী করবেন? দয়া করে এগুলো বন্ধ করুন৷ ''

ভারতের অভিনেতা রাহুল বোস নিজের ঢাকায় থাকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে লিখেছেন, পৃথিবীটা কত তাড়াতাড়ি বদলে যায়৷

লেখক তারেক ফাতাহ লিখেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেশিরভাগ জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে৷

ভারতীয় অভিনেত্রী সোহা আলী খান লিখেছেন, জঙ্গিরা ধর্মকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করছে, তাদের জিততে দিও না৷

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য গভীর দুঃখের একটা দিন৷ রাজনীতির খেলা বন্ধ করুন৷ আসলেই এর পেছনে কারা আছে খুঁজে বের করুন৷ অনেক দেরি গেছে৷''

গবেষক পার্থ এস সেনের মত, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ দূর করতে অন্য দেশগুলোর সাহায্য নেয়া উচিত৷

টেলিনর গ্রুপের কর্মকর্তা ম্যাই ওল্ডগার্ড লিখেছেন, যে শহরে আমি অনেকবার গেছি, কাজ করেছি৷ সত্যিই খুব দুঃখের ঘটনা৷

সাংবাদিক দীপন দেওয়ান লিখেছেন, ‘‘পুরো গুলশান এলাকা কিন্তু সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ কারো চোখে পড়েনি দুর্বৃত্তদের সন্দেহজনক আচরণ?''

ইমদাদুল জাহিদ লিখেছেন,‘‘ঝিনাইদহে মন্দিরের সেবায়েত, ঝালকাঠিতে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আজ সকালেই৷ এখন আবার গুলাশানে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, এক রেস্টুরেন্টে বিদেশি

নাগরিকসহ জিম্মি করে রাখা হয়েছে অনেককে৷ আধার তাহলে ঘনিয়েই এলো....। বাংলাদেশ... আহা, আমার বাংলাদেশ''

ফেসবুক পাতায় বাকি বিল্লাহ লিখেছেন, এটা ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী এক খেলা! এই খেলা এক অনিবার্য জঙ্গিবাদী পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে৷ এর আগের বিএনপি জামাত সরকার যেই জঙ্গিবাদের গাছ লাগিয়েছিল, সেটা তাদেরকেই উপড়ে ফেলতে হয়েছিল৷ তারা জঙ্গিবাদের উপস্থিতি অস্বীকার করতে চেয়েছিল, মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছিল - কিন্তু অন্তত রাষ্ট্রের তরফ থেকে জঙ্গিবাদীদের ভাষায় কথা বলার সাহস করেনি যেটা এই সরকারি দলের অনেক নেতা ও তাদের অরগ্যানিক অংশ ওলামা লীগ করেছে৷ আজ পরিষ্কার করে বলার সময় যে কেবলমাত্র ক্ষমতার ইন্টারেস্টে এই সরকার ক্ষয়ে যাওয়া জঙ্গিবাদের গোড়ায় আবার নতুন করে পানি ঢেলেছে - যাতে করে সেই কুমিরের ছানা দেখিয়ে সে তার ক্ষমতার বৈধতা তৈরি করতে পারে৷ এরপর কুমিরের ছানাটি যখন ভয়ঙ্কর মানুষখেকোতে পরিণত হয়ে সে সেক্যুলার ব্লগার লেখকদের খুন করা শুরু করেছে তখন এই সরকারই তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে৷ খুন হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে৷ এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষের দিনে যেভাবে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়ে বক্তব্য দিয়েছে তা নজিরবিহীন৷ বিএনপি-জামাতের কোনো শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকেও আমরা কখনো এই ইস্যুতে এতটা দায়িত্বহীন বক্তব্য দিতে দেখিনি৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য