একযুগ ধরে আড়ং এর বিশ্বস্ত ক্রেতা, তবে ... | পাঠক ভাবনা | DW | 04.06.2019
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

একযুগ ধরে আড়ং এর বিশ্বস্ত ক্রেতা, তবে ...

ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার স্থগিত বদলির সঙ্গে আড়ংয়ে অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন এক সচিব৷ আর এ নিয়ে   পাঠকদের প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এবং ই-মেলে৷ অনেকে আড়ং বয়কট করার হুমকিও দিয়েছেন৷

 ‘‘আমরা ভোক্তারা সবসময় ভুক্তভোগী! জরিমানা করলে যদি এরকম একশন হয়, তবে আমরা বয়কট ছাড়া কি আর করতে পারি! মন্তব্য খোরশেদ আলী মন্ডলের৷

ডয়চে ভেলের বাংলার ফেসবুক বন্ধু নিলয় মনে করেন,  ‘‘দেশি ব্র্যান্ড হলেই দেশের মানুষকে চুনা লাগাতে হবে আর অন্যায় করার পর নিজের ক্ষমতার অপব্যবহরের মাধ্যমে যে সরকারি কর্মকর্তাকে বদলি করার মত কাজ করে সে কখনো দেশের ভালো চায়না৷''

পাঠক ওয়াসী উদ্দিন রিয়াদ লিখেছেন তিনি গত একযুগ ধরে আড়ং এর বিশ্বস্ত ক্রেতা, তবে আজ থেকে নাকি আড়ং বয়কট করবেন৷

ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের স্থগিত বদলির সঙ্গে আড়ংয়ে অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন এক সচিব৷ তবে তা বিশ্বাস করেন না পাঠক আদনান অনীক ৷ তার বিশ্বাস আড়ং এর সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে ৷

ঢাকা থেকে জয়দেব ইমেলে লিখেছেন, বেশি দাম দিয়ে কেউ কিনতে চাইলে এটা কোন অপরাধ নয় তবে একই পণ্যের দাম ছয় দিনের ব্যবধানে যদি দুইটা হয় সেটা কি অপরাধ নয়? যেমন আপনি এখন বললেন আড়ং কে বাঁচাতে হবে দেশীয় ব্র্যান্ড বলে৷ একই পণ্যের দাম ছয় দিনের ব্যবধানে দুই রকম রাখার কোনো আইনি অধিকার কি কোন ব্রান্ড হাউজের আছে? আমিও দুই-চারটা পোশাক আড়ং থেকে কিনে পরি৷'' 

আর জিনিয়া শার্মিনের কাছে বিষয়টা  অনেকটা খ্যাতির বিড়ম্বনার মতো৷ এ ব্যাপারে  তার মত এরকম,  ‘‘আড়ং অন্যান্য দেশীয় কাপড়ের ব্যান্ডের এর তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়৷ আমি নিজেই আড়ং এর কাপড় পরি৷ দাম যেগুলো বেশি, সেগুলো কিনিনা৷ নিজের সাধ্যের মধ্যে যেগুলো পাই কিনি৷  আসলে যারা এখন সোস্যাল মিডিয়ায় আড়ং এর বদনাম করে ভাসিয়ে ফেলছে৷ তাদের বেশির ভাগই আড়ং ছাড়া আর কোন দেশীয় ব্র‍্যান্ডের নামই জানে না এবং তারা অন্যের মুখে শুনেছে আড়ং এ দাম বেশি৷ আর কি কারণে একই ড্রেসে দুই ধরনের দাম লেখা ছিল সেটা তারা বলেছে৷ আর আমিও একমত যে, ঈদের দুদিন আগেই কেন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে জরিমানা করলেন, আউটলেট বন্ধ করলেন৷ আর শুধু আড়ং এ গেলেন কেন?  শাহরিয়ার সাহেবের বদলির ব্যাপারটা একটু জটিল৷ প্রথমে সবাই বলল আড়ংকে জরিমানা করার জন্য বদলি করানো হয়েছে৷ তারপর দেখা গেল আড়ং এর সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, স্বাভাবিকভাবেই বদলি হয়েছে৷ এখন আবার বলা হলো সরকার এর হস্তক্ষেপে বদলি স্থগিত করা হয়েছে৷ আমার মতামত হচ্ছে, এভাবে একটা ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে,  প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে তার জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে কেন এভাবে ‘বর্জন করুন' হ্যাশট্যাগ নিয়ে মাতামাতি করা হচ্ছে৷ আড়ং তো একদিনে গড়ে ওঠেনি৷ হ্যা, আমার গর্ব হয় আড়ং মত ব্যান্ড আমাদের দেশে আছে৷ তাছাড়াও  পাঠক জিনিয়া ‘দাম বেশি রাখলে কিনবেন না' এ ব্যাপারটিতে লেখকের সাথে একমত পোষণ করেন৷

এদিকে ঢাকা থেকে বন্ধু মাহমুদ ইমেলে  লিখেছেন, ‘‘আমি একজন আড়ংয়ের নিয়মিত ক্রেতা৷ কারণ, আড়ংয়ের বাইরে অন্য ব্রান্ডের পণ্য আমার পছন্দ হয় না৷ তবে এক সপ্তাহের মাঝে একই পণ্যের দাম দিগুণ করা৷ শাস্তির দেয়ার কারণে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রভাব খাটানো৷ এটা তো আড়ংয়ের কাছ থেকে আমরা আশা করি না৷আড়ংয়ের এই ধরনের আচরণ আমরা যারা আড়ংয়ে ‘বেশি দাম দিয়ে পণ্য কেনার' নিয়মিত ক্রেতা তাদেরকে খুবই কষ্ট দেয় এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়৷''
 

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন

নির্বাচিত প্রতিবেদন