ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সামান্তা হান্নান লিখেছেন, ‘‘ ‘ইয়াবা গডফাদার' নিয়ে প্রকৃত সত্যটাকে তুলে ধরার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ৷'' এর বাইরে আরো যারা অন্যায়ভাবে ক্রসফায়ারের শিকার হচ্ছেন তাঁদের খবর তুলে ধরার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি৷
পাঠক সাকিব রায়হান লিখেছেন, ‘‘আমি বলছি না, একরাম সাহেব দোষী, আবার এটাও বলছিনা তিনি নির্দোষ৷ শুধু ডয়চে ভেলেকে একটা প্রশ্ন করবো, কোনো সাধারণ মানুষ নিজের বাবার সাথে কথা বলার সময় ফোন রেকর্ড করে? যেন কী হতে চলেছে তা আগে থেকেই জানা ছিল৷''
নাসির আহমেদ চৌধুরী তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সাকিব রায়হানের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এভাবে, ‘‘আমার দুটো চায়না মোবাইল আছে, সেগুলোতে ফোন কল রেকর্ড সিস্টেম আছে এবং অটোমেটিক রেকর্ড হয়ে যায়৷ সেরকম কোনো ডিভাইস যদি নিহত একরামের স্ত্রী ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সে মূহুর্তে তাঁর স্বামীর খবর নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়ার কারণে তা এভাবেই হয়তো অটোমেটিক্যালি রেকর্ড হয়ে গেছে৷''
তবে সজল আহমেদ মনে করেন, যে দু'টি টিভি চ্যানেল একরামুল হককে
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
নারীদের জন্য একটি, পুরুষদের দু’টি
ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আহসানিয়া মিশন পরিচালিত অ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টেগ্রেটেড কেয়ার সেন্টার৷ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও এখানে আছে নারীদের জন্য মাদকাসক্তির চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র৷ এখান থেকেই গাজীপুর ও যশোরে পুরুষদের দু’টি নিরাময় কেন্দ্রের কার্যক্রমের তদারকি চলে৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’
লাল কাপড়ে সুঁচি কাজের এ লেখাগুলো শোভা পাচ্ছে আহসানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রবেশ পথে৷ এটি তৈরি করেছেন কারাবন্দি মাদকাসক্তরা৷ আহসানিয়া মিশন তাদের তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে মাদকাসক্ত মানুষকে আলোর পথ দেখানোর কাজে নিয়োজিত৷ বন্দি মাদকাসক্তদের নিরাময়েও সংস্থাটি কাজ করে থাকে৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
মাদকাসক্তদের মধ্যে নারীরা বেশি
আহসানিয়া মিশনের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আলোর মুখ দেখতে আসা নারী মাদকাসক্তরা৷ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. ফারাহ দিবা জানান, তাদের কাছে সেবা নিতে আসা মাদকাসক্তদের মধ্যে ১৫-২৫ বয়সের মেয়েরাই বেশি৷ নারীদের মধ্যে আসক্তির অন্যতম কারণ হিসেবে তারা চিহ্ণিত করেছেন বন্ধুদের বা পরিবারের অন্য কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
বিভিন্ন রকম ‘প্রোগ্রাম’
‘ব্রোকেন ফ্যামিলির’ সন্তানদের মধ্যেও অবশ্য মাদকাসক্ত মানুষ দেখা যায়৷ তাই আহসানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্ত কেন্দ্রে চলছে সাইকো-সোশ্যাল এডুকেশন প্রোগ্রাম৷ এ কেন্দ্রে এ রকম নানান প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাদকাসক্তদের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
যাঁদের জন্য সুস্থ হয়ে উঠছেন মাদকাসক্তরা
আহসানিয়া মিশনের এই নারী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আছে সার্বক্ষণিক কাউন্সিলর ও চিকিৎসক৷ কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাদকাসক্তদের ভালো করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এ কাউন্সিলররা৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
দেখভাল প্রয়োজন প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়
আহসানিয়া মিশনের নারী মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এখানকার সদস্যদের কার্যক্রম৷ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের সদস্যদের সার্বক্ষণিক দেখভালের মধ্যেই রাখতে হয়৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
যেখানে থাকেন মাদকাসক্ত নারীরা
ঢাকার মোহাম্মদপুরে নারী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের থাকার জায়গা৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
পুরুষদের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
আহসানিয়া মিশনের রাজেন্দ্রপুরের পুরুষ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র৷ এটি পারিবারিক মিটিং বা ‘ফ্যামেলি মিটিং’-এর ছবি৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
‘ফ্যামিলি মিটিং’
নিরাময় কেন্দ্রের সেবায় সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর, পরবর্তী সময় পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় এ ধরনের ফ্যামিলি মিটিংয়ের৷
-
মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র
খেলার ছলে চিকিৎসা
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপর কেন্দ্রের মাদকাসক্ত চিকিংসার অংশ হিসেবে চলছে খেলাধুলা৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন
‘ইয়াবা গডফাদার' বানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত৷
রাশেদ রাশু লিখেছেন, ‘‘মিথ্যা তথ্য নির্ভর খবর তৈরি এবং তা প্রচারের জন্য নির্ধারিত আইনে বিচার হওয়া উচিত৷ একটা পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেল নির্মম ভাবে!''
মমিনুর রহমানও এ ব্যাপারে কতিপয় সাংবাদিককেই দায়ী করছেন৷ তিনি তার মতামত লিখেছেন এভাবে, ‘‘সাংবাদিকরা টাকার লোভে নিরীহ লোককেইয়াবার গডফাদার বানাতে পারেএবং সাংবাদিকরা, আজ ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেলে, কাল যমুনা টিভিতে, পরশু একুশে টিভিতে যায়, কিন্তু কেনো?? সব প্রশ্নের সোজা উত্তর, সাংবাদিকরা আসলে টাকা লোভী৷''
আর মাহবুবুর রহমান মিলন মনে করেন, মিডিয়ার অপপ্রচার আজ দেশের মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
মিরাজ মাহমুদ চৌধুরী মনে করেন, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ‘তালাশ' অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত৷
তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য মো.শাহেদুলসহ অনেকেই ডয়চে ভেলেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
থাইল্যান্ডের পুনর্বাসন কেন্দ্র
থাইল্যান্ডে ফ্রা পুত্থাবাতের কাছে থামক্রাবক মঠ৷ এখানে মাদকাসক্তদের ভিন্ন উপায়ে চিকিৎসা করা হয়৷ আধ্যাত্মিক ও প্রাকৃতিক উপায়ে মাদকাসক্তদের মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি এনে দেয়ার চেষ্টা করেন মঠের সন্ন্যাসীরা৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
বমনের মাধ্যমে শুদ্ধি
এখানে সাধারণত মাদকাসক্তদের ১০দিনের একটি কর্মসূচিতে রাখা হয়৷ তবে এর মধ্যে বহির্বিশ্বের সাথে মোকাবিলা করার ক্ষমতা গড়ে না উঠলে আরো দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে পারেন তারা৷ ভোর বেলা প্রত্যেককে একটি পানীয় খেতে বাধ্য করা হয়, যার ফলাফল বমি৷ মঠের সন্ন্যাসীদের মতে পানীয়টি খুবই বাজে, কিন্তু কার্যকর৷ এছাড়া মঠ ছাড়ার আগে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে অঙ্গীকার করতে হয় যে, সে আর কখনো মাদক ছুঁয়ে দেখবে না৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
আধ্যাত্মিক চেতনা
পেরুর আয়াহুয়াস্কা নিরাময় কেন্দ্রে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ প্রাকৃতিক উপায়ে মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির চিকিৎসা নিতে যান৷ সেখানকার আদিবাসীদের বিশ্বাস আয়াহুয়াস্কা প্রত্যেকের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি এনে দেয়৷ তবে পশ্চিমা চিকিৎসকদের মতে এ ধরনের চিকিৎসার ফলে ভয়ের স্মৃতি, বমি, প্রচুর ঘাম এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই বিশ্বের অনেক দেশে এখন আয়াহুয়াস্কা নিষিদ্ধ৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
ধর্মীয় পন্থা
ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোর পুনর্বাসন কেন্দ্র এটি৷ এখানে আধ্যাত্মিক উপায়ে চিকিৎসা করা হয়৷ প্রতিদিন সকালে সব মাদকাসক্ত ব্যক্তি জড় হয়ে ঈশ্বরের বন্দনা করেন৷ প্রত্যেককেই একটি গির্জার পাশে থাকতে দেয়া হয়৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
শিকল বেঁধে চিকিৎসা
এই ব্যাক্তির নাম আমানউল্লাহ, যাকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে জালালাবাদে একটি মাজারে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ এখানে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করা হয়৷ শিকল দিয়ে ৪০ দিন বেঁধে রাখা হয় তাদের৷ খেতে দেয়া হয় একটু রুটি, অল্প পানি আর একটু মরিচের গুড়া৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
আধ্যাত্মিক সাহায্য
মীর আলী বাবা, যাঁর নামে এই মাজার৷ স্থানীয়দের বিশ্বাস, মাদকাসক্তদের এখানে এভাবে বেধে রাখার ফলে আলী বাবা তাদের এই আসক্তি থেকে বের হতে সাহায্য করেন৷ এই ধারণা কেবল আফগানিস্তানেই নয় বিশ্বের অনেক স্থানে রয়েছে৷ কিছু স্থানে মাদকাসক্তদের শাস্তি দেয়া হয়, এমনকি হত্যা করাও হয়৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
শ্রমিক শিবির
চীনে মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন হয় জেলখানায়৷ কারাদণ্ড হওয়ার পর ঐ ব্যক্তিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়৷ কোকেইন, হেরোইন বা মারিজুয়ানা নিয়ে কেউ ধরা পড়লেও একই শাস্তি৷ তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, চীন মাদকাসক্তদের ক্লিনিকগুলোকে শ্রমিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে৷ অর্থাৎ তাদের দিয়ে নানা কাজ করিয়ে নেয়৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
মৃত্যু অভিজ্ঞতা
কিরঘিজস্তানে যে পুনর্বাসন পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় তা ভয়াবহ৷ এটাকে বলা হয় ‘কোমা চিকিৎসা’৷ মাদকাসক্তদের একটি ইনজেকশন দেয়া হয় যার প্রভাবে তারা কয়েক ঘণ্টা কোমা’র মতো অবস্থায় থাকে৷ এরপর যখন তারা ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় বলে বিশ্বাস সেখানকার মানুষের৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
বিলাসবহুল পন্থা
অনেক তারকারা মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে বিলাসবহুল পথ বেছে নেন৷ সবচেয়ে বিখ্যাত পদ্ধতিটি হয় অ্যামেরিকার বেটি ফোর্ড ক্লিনিকে৷ এখানে বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ও অভিনেতারা চিকিৎসা করান৷ এই ক্লিনিকে এমন কিছু সুযোগ সুবিধা থাকে যাতে আপনার মনে হবে আপনি একটি বিলাসবহুল হোটেলে আছেন৷
-
বিশ্বের অদ্ভুত সব মাদক নিরাময় কেন্দ্র
সবার চিকিৎসার সুযোগ নেই
বিশ্বের বেশিরভাগ মাদকাসক্তের চিকিৎসার সুবিধা নেই৷ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরিপ অনুযায়ী, সে দেশের মাত্র ১০.৪ শতাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তি চিকিৎসার সুবিধা পান৷ গরীব দেশগুলোতে এ অবস্থা আরো শোচনীয়৷
লেখক: ওয়াসলাত হাসরাত-নাজিমি/এপিবি