1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ

১৬ নভেম্বর ২০১৬

জার্মানির এক অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ গুন্টার হলটর্ফ৷ তিনি একটি গাড়ি নিয়ে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ সময় লেগেছে ২৬ বছর৷ তাঁর এই কীর্তি গিনিস বুকেও ঠাঁই পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2Sl3I
Weltreisender Holtorf und "Otto" sind zurück
গর্বিত হলটর্ফছবি: picture-alliance/dpa/S. Pilick

এক গাড়ি নিয়ে এতগুলো দেশে!

যে গাড়িতে করে হলটর্ফ বিশ্ব ঘুরেছেন তাকে তিনি আদর করে ‘অটো' নামে ডাকতেন৷ এই গাড়ি নিয়েই তিনি প্রায় নয় লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন৷ ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত করা এই অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে তিনি বেশ গর্বিত৷

বিশ্বভ্রমণ শেষে হলটর্ফ গলেন্সহাউজেনে তাঁর নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন৷ সেখানে তিনি মাঝেমধ্যেই সফরের স্মৃতি ও স্মারকচিহ্নগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন৷

পরিকল্পনার শুরু ১৯৮৮ সালে৷ সে সময় ছোট্ট এক এয়ারলাইন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর চাকরি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন হলটর্ফ৷ এক বছর পর স্ত্রী ক্রিস্টিন তাঁর সঙ্গে যোগ দেন, যিনি পরে মারা যান৷ নিজেদের সঞ্চয় দিয়ে তাঁরা তাঁদের সফরের খরচ মিটিয়েছেন৷ শুরুতে দেড় বছর ধরে শুধু আফ্রিকায় ঘোরার পরিকল্পনা থাকলেও পরে তাঁরা অন্যান্য জায়গায় যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন৷ হলটর্ফ বলেন, ‘‘স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারার বিষয়টি চমৎকার লেগেছে৷ প্রতিদিন সকালে উঠে আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম, কোথায় যাব৷''

একটি কন্টেনার জাহাজে ‘অটো'-কে তুলে দিয়ে সেই জাহাজে করেই তাঁরা দক্ষিণ অ্যামেরিকায় গেছেন৷ তারপর যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উত্তর মেরু যান৷ তারপর অস্ট্রেলিয়া হয়ে এশিয়া মহাদেশ ও হিমালয়৷ ‘‘ভ্রমণের সময় সবচেয়ে আনন্দের অংশ ছিল যখন আমরা সভ্য জগতকে পেছনে ফেলে গেছি৷ যেমন আফ্রিকার সাহারা আর নামিব, এবং চীনের তাকলামাকান মরুভূমিতে আমরা একা ছিলাম,'' বলেন হলটর্ফ৷

মিয়ানমার আর উত্তর কোরিয়ার মতো দেশেও যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা৷ ঐ দুই দেশে তাঁরাই ছিলেন প্রথম পশ্চিমা নাগরিক যাঁরা নিজেদের গাড়ি নিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ শুধুমাত্র মাদাগাস্কারে একবার তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল৷

গাড়ির চেয়েও বেশি কিছু ছিল ‘অটো'৷ প্রায় প্রতি রাতেই গাড়িতে কাটিয়েছেন হলটর্ফ ও তাঁর স্ত্রী৷ পানিভর্তি একটি বড় জগ গোসলের শাওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ একটি মোবাইল রান্নাঘরও ছিল সেখানে৷

‘অটো'-কে এখন বিশ্রাম দেয়া হয়েছে৷ স্টুটগার্টের মার্সিডিজ বেনৎস জাদুঘরে রাখা আছে সেটি৷

অটো না থাকলেও ভ্রমণ সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও হলটর্ফের কাছে আছে৷ যেমন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রের ক্লিপিং৷ জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘স্ট্যার্ন' তাঁর ভ্রমণের কিছু স্মৃতি ধরে রেখেছে৷

দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০১০ সালে মারা যান হলটর্ফের স্ত্রী ক্রিস্টিন৷ ‘‘ক্রিস্টিনের মৃত্যুর পর আমি আবার শুরু করি৷ আসলে ওর মৃত্যুর দুঃখ ভোলার একটি উপায়ও ছিল সেটি৷ এর পরের চার বছর আমি এমন সব জায়গায় গিয়েছি যেখানে আগে যাইনি,'' বলেন হলটর্ফ৷

প্রতিবেদন: আলেকজান্ডার লুজাক/জেডএইচ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান