1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর

৬ অক্টোবর ২০১০

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এখন দাঁড়িয়ে আছে এক সন্ধিক্ষণে৷ একদিকে কেন্দ্রের ৮-দফা শান্তি প্যাকেজ, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নতুন করে বিক্ষোভের ডাক৷ কাশ্মীরে শান্তি ফেরানো মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর কাছে এক অগ্নিপরীক্ষা৷

https://p.dw.com/p/PWsi
কাশ্মীরে টান-টান উত্তেজনাছবি: UNI

জম্মু কাশ্মীর ব-কলমে শাসন করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর ক্ষমতার ভিত এখন নড়বড়ে৷ এই রকম একটা ধারণা ক্রমশই তৈরি হচ্ছে রাজ্যে৷ এই অভিযোগ খণ্ডন করতে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, তিনি এবং তাঁর মন্ত্রীসভা কেন্দ্রের হাতের পুতুল নয়৷ আজ বিধানসভায় রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি রাজ্যের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করেন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের৷ বলেন, গত তিন মাসের সহিংস আন্দোলনের ফলে ৩০ হাজার ব্যবসায়ী, ছাত্র ও ডাক্তার রাজ্যের বাইরে চলে গেছে৷ ট্রেন সার্ভিস হয়ে গেছে অচল৷ অথচ তাঁরই চাপে ৩০ হাজার আধা-সামরিক বাহিনী ও সেনা সরাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র৷ উপত্যকার ১৬টি বাঙ্কারের মধ্যে ১৫টি ভেঙে ফেলা হয়েছে৷ মুক্তি দেয়া হয়েছে ৫০ জন আটক বিক্ষোভকারী যুবককে৷ তাঁর সরকারের চাপেই সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন তুলে নেবার কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে কেন্দ্র৷ পাশাপাশি কতগুলি ক্ষেত্রে অবশ্য কেন্দ্রের অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, সাতদফা শান্তি আলোচনা তাঁর সঙ্গে হয়েছে, আট-দফা নয়৷ উপত্যকায় স্কুল খোলার এবং কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেবার কথা রাজ্য সরকারের কিন্তু নিয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব৷

Kashmir Omar Abdullah bei Wahlkampveranstaltung
শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান ওমর আবদুল্লাহছবি: UNI

শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রের মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আলোচনা হবে খোলা মনে অর্থপূর্ণ ও ফল-ভিত্তিক৷ পূর্ব-নির্ধারিত মানসিকতা নিয়ে নয়৷ কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তিনি দিল্লি-শ্রীনগর এবং দিল্লি-ইসলামাবাদ আলোচনার দাবি তোলেন৷

এর মাঝে কট্টর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি আগামীকাল থেকে উপত্যকায় নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যাতে শান্তি প্যাকেজে তিনি যেন ব্রাত্য হয়ে না পড়েন৷

সিপিআই-এম পলিটব্যুরো বৈঠকে আট-দফা শান্তি প্যাকেজ কার্যকর করার এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে নিরাপত্তা কৌশল বদলাবার কথা বলা হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন