1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনই খুলছে না মক্কা, তবে সৌদিতে কারফিউ শিথিল

২৬ মে ২০২০

মক্কা না খুললেও অন্যান্য মসজিদে গিয়ে ফের নামাজ পড়া যাবে। কারফিউ শিথিল হচ্ছে সৌদি আরবে।

https://p.dw.com/p/3cl6A
ছবি: AFP/A.G. Bashir

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে বলে সেখানকার প্রশাসন জানিয়েছে। বলা হয়েছে, ৩১ মে থেকে ২০ জুনের মধ্যে ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে মসজিদগুলিও। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে সাধারণ মানুষ নামাজ পড়তে যেতে পারবেন। ২১ জুন থেকে কড়াকড়ি আরও কমানো হবে। তবে এখনই মক্কা খুলছে না। মক্কা খোলার বিষয়ে আরও কিছু দিন পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কড়াকড়ি কমলেও ২০ জুন পর্যন্ত বেলা তিনটে থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।

এ দিকে ফের সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও। সোমবার সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন গোটা বিশ্ব জুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। ফলে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বস্তুত, করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ইউরোপ। অ্যামেরিকাতেও ধীরে ধীরে লকডাউনের কড়াকড়ি উঠছে। কিন্তু তা শুরু হতেই দেখা যাচ্ছে, ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। জার্মানি সহ ইউরোপের বহু জায়গায় এমনটা ঘটেছে। চার্চ, বাজার, রেস্তোরাঁ থেকে করোনা নতুন করে ছড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, কোনও কোনও দেশে করোনার সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সেখান থেকে করোনা চলে গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। ফলে সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্বের সমস্ত নিয়ম পালন করতে হবে।

করোনায় চার তরুণীর ঈদ

এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ। এর মধ্যে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৩ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। অ্যামেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। ১৭ লাখ ছয় হাজার। মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষের। এর পরেই ব্রাজিল এবং রাশিয়ার অবস্থান। স্পেন চার নম্বরে। দীর্ঘ তিন মাস ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে স্পেন। এখন সেখানে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। সোমবার স্পেনের প্রশাসন জানিয়েছে, করোনায় সে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা এত দিন যা জানানো হয়েছিল, তাতে কিছু ভুল ছিল। মৃতের তালিকা থেকে প্রায় দুই হাজার লোকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। স্পেনের বক্তব্য, অনেকেরই নাম দু'বার চলে গিয়েছিল। কারও কারও আবার করোনায় মৃত্যু হয়নি। ভুল করে করোনার তালিকায় তাঁদের নাম চলে গিয়েছিল। এর আগে চীনও করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের তালিকায় বদল এনেছিল। জানা গিয়েছিল, উহান প্রদেশে যত জন আক্রান্তের কথা বলা হয়েছিল, আসল সংখ্যাটি তার দ্বিগুণ।

এ দিকে সোমবার ফের চীনের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছে, করোনা ভ্যাক্সিনের পরীক্ষায় চীন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। এর আগে একাধিকবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনা করেছে অ্যামেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, চীনের হয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। তার পরেও সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিবৃতি বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলবে বলেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)