1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একই দিনে দু’বার ভূমিকম্প

৪ জানুয়ারি ২০১৭

বছরের শুরুতে একই দিনে দু'দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ৷ ভারতের ত্রিপুরায় মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে মানুষের আতঙ্কের অনেক কথা৷

https://p.dw.com/p/2VEjr
Bangladesch Erdbeben
মৌলভীবাজারে ভূমিকম্পের পরের দৃশ্যছবি: bdnews24.com

মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৯মিনিটে শুরু হওয়া এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব এবং আগরতলা থেকে ৭৬ কিলোমিটার পূর্বে৷ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ত্রিপুরার আম্বাসা এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ৩৬ কিলোমিটার গভীরে৷ রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫৷

ভূমিকম্পে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে, ভেঙে গেছে অসংখ্য মাটির দেয়াল ও সীমানা প্রাচীর৷ বিভিন্ন জায়গায় জমি ফেটে বেরিয়ে এসেছে পানি ও বালি-কাদা৷

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আতঙ্কের পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট দেয়া নিয়ে মজাও করা হয়েছে৷ মাহমুদুল হক মনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, ভূমিকম্প হলে প্রাথমিক করণীয় কী? ছাত্র বললো ফেসবুকে পোস্ট দেয়া, সেলফিসহ৷’’

ফারজানা জাফরিন ঐশী লিখেছেন তার অভিজ্ঞতা নিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো তা বহুদিন আমার মনে থাকবে৷'' ঐশী জানিয়েছেন, তখন তিনি একটি সেমিনারে অংশ নিচ্ছিলেন৷ হঠাৎ মনে হলো, পেছনের সিট কেউ নাড়াচ্ছে৷ কেউ বললো ভূমিকম্প হচ্ছে৷ পাঁচ তলায় থাকায় কম্পন ভালোমতো টের পেয়েছেন তিনি৷ অনেকেই বাইরে বেরিয়ে বাসায় ফোন দিয়েছেন৷ তবে এশী লক্ষ্য করেছেন, সেমিনারে তিনি ছাড়া আর কারও মধ্যে কোনো আতঙ্কের চিহ্ন ছিল না৷

নাসিরউদ্দীন হাওলাদার লিখেছেন, ‘‘কপালে কী আছে আল্লাহ্‌ই জানেন৷ ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্প হলো, দুপুর ৩.১০ মিঃ ৫.৫ মাত্রার এবং রাত ১২.৫১ মিঃ ৫.১ মাত্রার৷’’

ইব্রাহিম খলিল লিখেছেন, ‘‘একদিনে বাংলাদেশে তিনটি খারাপ খবর৷ ঢাকার ডিসিসি মার্কেটে আগুন, ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের হার এবং ভূমিকম্প৷’’

মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ লিখেছেন, ‘‘ভূমিকম্প কি ভূপৃষ্ঠে হয়, নাকি ফেসবুকে হয় কিছু বুঝি না৷ বাস্তবে কিছুই টের পাইনি৷ কিন্তু ফেসবুকে ঢুকে দেখি একেবারে অন্য মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছে!’’

মিজানুর রশিদ শুভ্র লিখেছেন, ‘‘যখন প্রকৃতি নিজেই স্পষ্ট খুনের হুমকি নিয়ে আসে তখন সেটা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকারও সময় না, কার কী দোষ সেটা ঘাঁটবারও সময় থাকে না, এটা সমাধান খোঁজার সময়৷’’

পারভেজ আলম লিখেছেন, ‘‘কোনো বিশেষ উৎসব উদযাপন (নিউইয়ার/ক্রিসমাস) অথবা পোশাকের কারণে ভূমিকম্প হতে পারে এই ধরণের চিন্তা এক ধরণের এনিমিজম, প্রাচীন পৌত্তলিকতা৷ নিজের প্রতিক্রিয়া, প্রেজুডিস প্রাণহীন পৃথিবীর উপরে চাপিয়ে দেয়া আর কি৷ অথচ মানুষের বিভিন্ন কাজের প্রতিক্রিয়ায় (কয়লা পোড়ানো/তেল পোড়ানো) প্রকৃতি ও পরিবেশে যেসব পরিবর্তন (বৈশ্বিক উষ্ণতা) সত্যি সত্যি ঘটে যাচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে এই ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না, আফসোস৷’’

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য