1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাটালুনিয়ার রাশ মাদ্রিদের হাতে

৩০ অক্টোবর ২০১৭

সোমবার সরাসরি কাটালুনিয়া রাজ্যের শাসনভার তুলে নিচ্ছে স্পেনের ফেডারেল সরকার৷ সংবিধানসম্মত এই দৃষ্টান্তহীন পদক্ষেপের বাস্তব পরিণতি আন্দাজ করা কঠিন৷ এদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্তি বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2miot
ছবি: Reuters/Y. Herman

স্বাধীনতার পথে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েও কাটালুনিয়া রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শেষ পর্যন্ত ঘরে-বাইরে কোণঠাসা হয়ে পড়লো৷ মাদ্রিদে ফেডারেল সরকার শুরু থেকেই কড়া অবস্থান নিয়ে এসেছে৷ তাদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা ঘোষণা করায় শুক্রবারই কাটালুনিয়া রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করে রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোইয়ের সরকার৷ আগামী ২১শে ডিসেম্বর আগাম নির্বাচন পর্যন্ত কাটালুনিয়ার শাসনভার তুলে নিচ্ছে ফেডারেল সরকার৷ নির্বাচনের পর নতুন রাজ্য সরকার গঠন হলে আবার ক্ষমতা হস্তান্তর হবার কথা৷

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক নাটকীয় ঘটনার প্রেক্ষাপটে কাটালুনিয়ার মানুষ গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ এতকাল স্বাধীনতার সমর্থকরাই মূলত রাজপথে নেমে শক্তি প্রদর্শন করেছে৷ কিন্তু ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চরম অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে এবার সরব হয়ে উঠছে স্বাধীনতাবিরোধী মানুষ৷ জনমত সমীক্ষায় আপাতত তাদেরই পাল্লাভারি৷ রবিবার বার্সেলোনায় স্পেনের ঐক্যের পক্ষে বিশাল মিছিল দেখা গেছে৷

এই অবস্থায় কাটালুনিয়ার স্বাধীনতাকামী শিবির উভয় সংকটে পড়েছে৷ মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’-এর অভিযোগ করে বরখাস্ত হওয়া সরকারের প্রধান কারলেস পুজেমন শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবার ডাক দিয়েছেন৷ তবে আসন্ন নির্বাচনে যোগদানের প্রশ্নে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামনে দুটি বিকল্পই বড় কঠিন৷ শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদের কর্তৃত্ব মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে এতদিনের প্রতিরোধ বৃথা হয়ে যাবে৷

এরই মধ্যে তাদের প্রতি জনসমর্থনে ভাটা পড়েছে৷ মাদ্রিদের কর্তৃত্ব মেনে নিলে স্বাধীনতাকামী অনেক ভোটারও ক্ষুব্ধ হয়ে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন৷ আবার নির্বাচনে অংশ না নিলে আগামী রাজ্য বিধানসভায় তাদের অস্তিত্বই থাকবে না৷

কাটালুনিয়ার প্রশাসন যন্ত্র মাদ্রিদের সরাসরি শাসন কতটা মেনে নেবে, তা নিয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ প্রশাসনের সদস্য থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা বিদ্রোহ করলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়৷ সে ক্ষেত্রে অরাজকতার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷

আগাম নির্বাচনের পরেও বর্তমান সংকটের নিরসন হবে, এমনটা ধরে নেওয়া কঠিন৷ স্বাধীনতাকামী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়লে বা রাজ্য বিধানসভায় তাদের উপস্থিতি না থাকলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা বজায় থাকার আশঙ্কা রয়েছে৷ এমনকি দুই শিবিরই সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট শক্তি না-ও অর্জন করতে পারে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)