1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিলামে জোড়া ডাইনোসর

১৪ নভেম্বর ২০১৩

কিনবেন নাকি ডাইনোসর? একটা নয়, এক জোড়া! তারা আবার লড়াই করতে ব্যস্ত৷ আগামী ১৯শে নভেম্বর নিউ ইয়র্কে বনহ্যামস-এ অকশনে গিয়ে ভালো দর হাঁকলে হয়ত তারা আপনার হয়ে যাবে৷ এর একটি নাকি টিরানোসরাস রেক্স-এর জ্ঞাতি!

https://p.dw.com/p/1AGeV
Künstlerische Darstellung zeigt ein 190 Millionen Jahre altes Massospondylus-Nest, Eier, Jungtiere und erwachsene Dinosaurier im Golden Gate Highlands National Park in Südafrika (undatiertes Handout). Die bislang ältesten entdeckten Dinosauriernester hat eine internationale Forschergruppe in Südafrika aufgespürt. Die Gelege seien 190 Millionen Jahre und damit fast doppelt so alt wie das bislang älteste bekannte Nest, teilte die University of Toronto Mississauga über den Fund mit. Die etwa zehn Nester wurden im Golden Gate Highlands National Park in Südafrika gefunden. ***** (ACHTUNG: Nur zur redaktionellen Verwendung bei vollständiger Urhebernennung «Zeichnung: Julius Csotonyi», nur im Zusammenhang mit der dpa-Meldung «Ältestes Nest offenbart Leben früher Dinosaurier» vom 23.01.2012) ****+++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

না, জ্যান্ত নয়৷ পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে৷ মৃত্যুর সময়ও লড়াই করছিল তারা৷ ঠিক সেই অবস্থায় রয়েছে তাদের কঙ্কালের জীবাশ্ম৷ আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যে চাপা পড়ে ছিল সেই বিরল ঘটনার ছাপ৷ সেই জমি কিন্তু আবার ছিল ব্যক্তিগত মালিকানায়৷ ২০০৬ সালে খনন করে সেই প্রায় অক্ষত জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়৷ দুটি প্রাণীর মধ্যে একটি টিরানোসরাস রেক্স-এর জ্ঞাতি ন্যানোটিরালাস৷ রেক্স-এর মতোই মাংসাশী শিকারি ছিল তারা৷ দ্বিতীয় ডাইনোসরাসটি এমন এক অজানা প্রজাতির, যারা ঘাসপাতা খেত৷ উত্তর অ্যামেরিকায় এর আগে এমন প্রায় অক্ষত ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি৷

এ ধরনের আবিষ্কার সাধারণত মিউজিয়াম বা অন্য কোনো সংগ্রহশালায় স্থান পায়৷ সাধারণ মানুষ টিকিট কেটে সে সব দেখার সুযোগ পান৷ বিজ্ঞানী ও গবেষকরাও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা চালাতে পারেন৷ কিন্তু মন্টানায় পাওয়া জীবাশ্মের ‘মালিক' এই সম্পদ নিলামে চড়িয়ে দুই পয়সা কমাতে চান৷ বনহ্যামস-এ অকশনে ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ ডলার আশা করছেন তিনি৷ তিনি অবশ্য প্রথমে একাধিক মিউজিয়ামকেই বিক্রি করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাদের এত দাম দিয়ে জীবাশ্ম কেনার সামর্থ্য ছিল না৷

বিষয়টা শুধু টাকাপয়সার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ সংগ্রামরত দুই ডাইনোসরের জীবাশ্ম নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিকমতো যাচাই করতে চাই নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা৷ বৈজ্ঞানিকদের নাগালের বাইরে থাকলে সেটা সম্ভব হবে না৷ মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস কার এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, এমন সম্পদ স্থায়ীভাবে কোনো মিউজিয়াম বা গবেষণাগারে না থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে পারে না৷ তাছাড়া জীবাশ্ম যেখানেই পাওয়া যাক না কেন, এমন আবিষ্কারকে মানবজাতির সম্পদ হিসেবেই গণ্য করতে হয়৷

নিলামের দোকান বনহ্যামস-এর প্রতিনিধি টমাস লিন্ডগ্রেন অবশ্য এমন যুক্তি মানতে নারাজ৷ তাঁর মতে, জমির মালিক অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করে জীবাশ্মদুটিকে সযত্নে উদ্ধার করেছেন৷ এর জন্য বেশ কয়েক হাজার ডলার ব্যয় করতে হয়েছে৷

পাল্টা জবাবে টমাস কার বলেছেন, জীবাশ্মের খননকার্যে বড়জোর ২০,০০০ ডলার ব্যয় হতে পারে৷ ফলে ৯০ লক্ষ ডলার দাম চাওয়াটা মোটেই ন্যায্য হতে পারে না!

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য