1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনা ব্যারাকের নাম বদল?

১৫ মে ২০১৭

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা জার্মান সেনাবাহিনীর কয়েকটি ব্যারাকের নাম পরিবর্তন করতে বলেছেন উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন৷

https://p.dw.com/p/2cylw
Bundesverteidigungsministerin von der Leyen in Illkirch
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েনছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনে করেন, সেনাবাহিনীকে ডানপন্থি চেতনামুক্ত করতে এমন উদ্যোগ অত্যাবশ্যক৷

নিজেকে শরণার্থী হিসেবে তুলে ধরে এক জার্মান লেফটেন্যান্টের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করার বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জার্মান সেনাবাহিনী আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে৷ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে সব দোষ শরণার্থীদের উপর চাপানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ফ্রাংকো এ. এবং মাক্সিমিলিয়ান টি. নামের দুই জার্মান সেনাকর্মকর্তা৷ সিরীয় শরণার্থী সেজে জার্মানিতে আশ্রয়ের অনুমতিও আদায় করেছিলেন ফ্রাংকো৷ কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েনার বিমানবন্দরের টয়লেটে বন্দুক লুকাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের এক পর্যায়ে মাক্সিমিলিয়ানকেও গ্রেপ্তার করা হয়৷ দু’জনে মিলে যে, সেনাবাহিনীর অস্ত্র চুরি করে লুকিয়ে রেখেছিলেন সে বিষয়টিও বেরিয়ে আসে তখন৷ তারপর থেকে তদন্ত যত এগোচ্ছে, সেনাবাহিনী নিয়ে দুশ্চিন্তা, সমালোচনাও ততই বাড়ছে৷ নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন থেকে শুরু করে অনেক সেনা সদস্যের ডানপন্থি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুধু উদ্বেগই প্রকাশ করেননি, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করে হয়েছেন সমালোচিত৷ এজন্য দুঃখ প্রকাশও করতে হয়েছে তাঁকে৷ তবে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সব রকমের পদক্ষেপ নিতে এখনো তিনি তৎপর৷ সেনাবাহিনীতে কেউ ডানপন্থি ভাবধারার প্রসার ঘটানোর্ চেষ্টা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে তাঁর উদ্যোগে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ঘনিষ্ঠ এই সিডিইউ নেতা রবিবার এক সাক্ষাৎকারে কিছু সেনা ব্যারাকের নাম বদলানোর দাবিও তুলেছেন৷

জার্মানির ‘বিল্ড আম জামস্টাগ’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জার্মান সেনাবাহিনীর যেসব ব্যারাকের নাম নাৎসি সেনাকর্মতাদের নামে রাখা হয়েছে, সেগুলোর নাম বদলাতে হবে৷ প্রসঙ্গত, জার্মানির সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি ব্যারাকের নাম কয়েকজন নাৎসি সেনাকর্মতাকে ‘শ্রদ্ধা’ জানাতেই তাদের নামে রাখা হয়েছিল৷ এর মধ্যে নাৎসি বাহিনীর পাইলট হান্স-ইওয়াখিম মার্সাইলের নামে রাখা মারসাইলে ব্যারাক এবং নাৎসি বাহিনীর নন-কমিশন্ড অফিসার ডিয়েড্রিচ লিলিয়েনথালের নামে রাখা ফেল্ডভেফেল-লিলিয়েনথাল ব্যারাকের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে৷

এসিবি/ডিজি (ডিডিএ, রয়টার্স,এএফপি)