1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার হবে ‘সাদা ক্রিসমাস’!

২১ ডিসেম্বর ২০১০

আর মাত্র কদিন পরই ক্রিসমাস৷ কিন্তু ব্যাপক তুষারপাত আর ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এবার সেটা মাটি হতে বসেছে অনেকের জন্যই৷ কারণ বিমান সহ অন্যান্য যানবাহন চলছে খুবই কম৷ সেই সঙ্গে রয়েছে দুর্ভোগ৷

https://p.dw.com/p/znuz
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে অসহায় যাত্রীরাছবি: AP

বিমানবন্দরগুলোর সর্বশেষ অবস্থা

ইউরোপে চলাচলের অন্যতম প্রধান বাহন বিমান৷ কিন্তু তুষারের কারণে বিমানবন্দরগুলো মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে যাত্রীরা আটকা পড়ছেন বিমানবন্দরে৷ সর্বশেষ খবর বলছে যে, লন্ডনের হিথ্রো ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে উঠানামা দুপুরের আগে শুরু হয়েছে৷ গতরাত থেকে তুষারের কারণে সেগুলো বন্ধ ছিল৷ ফলে যাত্রীদের বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে হয়েছে৷ কোথাও কোথাও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য বিছানা, কম্বলের ব্যবস্থা করেছেন৷

কেন এমন হচ্ছে?

Schneechaos Deutschland Flash-Galerie
ছবি: AP

এই প্রশ্নটাই এখন সবাই করছেন৷ যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবহন কমিশনার ব্যাপারটা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ৷ তিনি এই অবস্থাকে ‘অগ্রহণযোগ্য' বলছেন৷ এবং সামনে তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে বসে তাদের কাছে, এই পরিস্থিতি কেন হলো সেটা জানতে চাইবেন৷ এদিকে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিমানবন্দরে গতবছর ছয় ফুট উচ্চতার বরফ জমেছিল৷ কিন্তু তারপরও সেখানে বিমান চলাচল বন্ধ হয়নি৷ এর কারণ হিসেবে ঐ বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন যে, তাদের রানওয়ে তিনটি এবং তুষার পরিষ্কার করার জন্য তাদের অনেকগুলো গাড়ি ও আলাদা লোক রয়েছে৷ তিনটি রানওয়ের কারণে তারা এধরনের পরিস্থিতিতে বরফ পরিষ্কার করে অন্তত দুটি রানওয়ে সচল রাখার চেষ্টা করেন সবসময়৷ কিন্তু এ ধরনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের নেই বলে অভিযোগ রয়েছে৷

রেল, সড়ক পথের অবস্থা

Wetter LKW Schneechaos - NO FLASH
ছবি: ap

সেগুলোর অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়৷ যেমন ক্রিস্টিয়ান শুমাখার নামের ২০ বছর বয়েসি এক জার্মান ছেলে তার মাবাবার সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যেতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁর মোট পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে৷ তাই তিনি বাধ্য হয়ে এখন গাড়ি করে লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন৷ কিন্তু তারপরও তিনি যেতে পারবেন কিনা নিশ্চিত নন৷ কারণ বরফের কারণে রাস্তাও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ অনেক গাড়ি পিছলে উল্টে গেছে৷

রেলপথেও সমস্যা৷ লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন ‘ইউরোস্টার' কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের টাকা ফেরত নিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন৷ কারণ তুষারের কারণে নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন চলতে পারছেনা৷ তাই ভেঙে পড়েছে সময়সীমা৷ এদিকে জার্মানিতে একটা মজার বিষয় হয়েছে৷ এখানকার বিমানবন্দরগুলো যাত্রীদের ট্রেনে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছে৷ আর ওদিকে ট্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের কোথাও না গিয়ে ঘরে বসে থাকতে৷

আবহাওয়ার পুর্বাভাষ

আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবেনা৷ তাই এবার ‘সাদা ক্রিসমাস' পালনের আশঙ্কা করছেন অনেকেই৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক