1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবোলা নিয়ে নানা গুজব

২৮ আগস্ট ২০১৪

এবোলা এসেছে – এই গুজবে গায়ে লবণ মাখা শুরু করেছেন আইভরি কোস্টের মানুষরা৷ এদিকে, এবোলায় আক্রান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে জার্মানিতে৷ আর বাংলাদেশে এবোলা নিয়ে কাজ করছে ব্র্যাক৷

https://p.dw.com/p/1D2dB
Kind mit Ebola in Kailahun Sierra Leone 15.08.2014
ছবি: Carl De Souza/AFP/Getty Images

সরকারি হিসেবে আইভরি কোস্টে এখনো এবোলা প্রবেশ করেনি৷ কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে থেকেই কুতুবা গ্রামের লোকজন লবণ পানি পান ও রসুন খাওয়া শুরু করেছেন৷ এছাড়া তাঁরা গায়ে মাখছেন লবণ৷ এর মাধ্যমে নাকি এবোলার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়৷ কুতুব গ্রামের সিয়ামু কোবেনান জানান, ‘‘শেষ রাতে একজন ভদ্রলোক ফোন করে জানিয়েছেন, দেশে এবোলার ভাইরাস ঢুকেছে এবং সেজন্য আমাদের লবণ পানি পান ও লবণ মাখা দরকার৷''

এরপর থেকে সবাই লবণের ব্যবহার শুরু করায় এবোলা এখনো তাদের গ্রামে প্রবেশ করতে পারেনি বলে মনে করেন কোবেনান৷

এদিকে আইভরি কোস্টের এক শিক্ষাবিদ জানিয়েছেন যে, সে দেশের কয়েকটি সম্প্রদায়ের লোকজন মনে করে, আফ্রিকার মানুষদের হত্যা করতে ‘সাদা মানুষ'-রা এবোলা ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন৷

আইভরি কোস্টের প্রতিবেশী দেশ গিনিতে প্রথম এবোলার সন্ধান পাওয়া যায়৷ এখন পর্যন্ত সেখানে এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এ কারণে শুক্রবার থেকে গিনির সঙ্গে আইভরি কোস্টের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

গিনি ছাড়াও লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন ও নাইজেরিয়ায় এবোলা ছড়িয়ে পড়েছে৷ এর মধ্যে লাইবেরিয়ায় মারা গেছেন ৬২৪ জন৷

সব মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ শো'র বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করা স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ১২০-র থেকেও বেশি বলে জানা গেছে৷

জার্মানিতে চিকিৎসা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হয়ে সিয়েরা লিওনে কর্মরত সেনেগালের এবোলা আক্রান্ত এক কর্মীকে চিকিৎসা দিতে বুধবার জার্মানিতে নিয়ে আসা হয়েছে৷ হামবুর্গের একটি হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ এর আগে ডাব্লিউএইচও-র আরও একজন কর্মীকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে আসার কথা থাকলেও, তার আর সুযোগ হয়নি৷ কেননা তার আগেই তিনি মারা যান৷ সে হিসেবে জার্মানিতে এবোলা আক্রান্ত রোগীর এটাই প্রথম চিকিৎসা৷

সিয়েরা লিওনে এবোলা মোকাবিলায় ব্র্যাক

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের অনেক সদস্য সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এর ফলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷ এমনকি সে দেশে বাংলা ভাষাকে সম্মানসূচক অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷

সেই সিয়েরা লিওনে অনেকদিন ধরে কাজ করছে ব্র্যাক৷ সে দেশে এবোলা ভাইরাস যাওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি ব্র্যাকও কাজ করছে৷ ব্র্যাক ব্লগে প্রকাশিত এক পোস্ট থেকে জানা যায়, এবোলা আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে পাঠানোর জন্য ব্র্যাকের পক্ষ থেকে সরকারকে জীবাণুনাশক, সার্জিক্যাল গ্লভস, মুখোশ, সাবান, ক্লোরিন ইত্যাদি দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া এবোলা প্রতিরোধে কী করা উচিত – সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে তথ্যভিত্তিক ‘জিঙ্গেল' প্রচার করছেন ব্র্যাক কর্মীরা৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য