এভাবে শোক প্রকাশ দেখেনি বিশ্ববাসী

প্রতিটি সংস্কৃতিতে মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আছে নিজস্ব প্রথা৷ কিন্তু থাইল্যান্ডের অধিবাসীরা সব প্রথাকে যেন পেছনে ফেললেন৷ রাজার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেও মাতম চলছে৷ প্রতিদিন কালো পোশাক পরে রাজপ্রাসাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন তারা৷ সরকারের পক্ষ থেকেও আগামী এক বছর সবাইকে কালো কাপড় পরিধানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ যেসব দরিদ্র মানুষের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কালো রিবন বা ফিতা পরতে বলা হয়েছে৷

বেশিরভাগ ওয়েবসাইটের ছবিতে রঙিনের বদলে সাদা-কালো ছবির আধিক্য দেখা যাচ্ছে৷ এটা তারা করছে রাজাকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে৷ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইল ছবি সাদা-কালো করে ফেলেছে৷

ট্যাটু বা উল্কি আঁকার ক্ষেত্রে থাইদের সুনাম রয়েছে৷ তবে রাজা ভূমিবলের মৃত্যুর পর সব ট্যাটু পার্লারে মানুষ ভিড় করছে রাজার ছবি বা তাঁর উক্তি শরীরে লিপিবদ্ধ করতে৷ কোনো কোনো পার্লার বিনামূল্যে দিচ্ছে এই সেবা৷

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উৎসব বা উদযাপনের সময় আউটডোরে মিউজিক না বাজানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ সোমবার ছিল পূর্ণচন্দ্র উৎসব৷ সেদিন কোনো ধরনের সংগীত ছাড়াই উৎসব পালিত হয়েছে৷

রাজার স্মৃতির উদ্দেশে সোমবার তাঁর ছবি সম্বলিত ব্যাংক নোট প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক৷ থাইল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে এই নোট সংগ্রহে মধ্যরাত থেকে ছিল দীর্ঘ লাইন৷ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানালেন, মঙ্গলবারের মধ্যে সব নোট বিক্রি হয়ে গেছে৷ এর দাম ছিল স্বাভাবিক দামের দ্বিগুণ৷

সরকারের নির্দেশে সব টেলিভিশন চ্যানেলে রাজা ভূমিবলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড ও উদ্যোগের পুরোনো ভিডিওচিত্রগুলো বার বার দেখানো হচ্ছে৷ এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাজার প্রশংসিত কাজগুলোর ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে৷ এছাড়া রাজার মৃত্যুর পর ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় তার ডকুমেন্টারিগুলো অনেকবার ডাউনলোড করা হয়েছে৷