1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্টে ছড়ানো হবে হিলারির দেহভস্ম

২ এপ্রিল ২০১০

হিমালয়ের সর্বোচ্চ শিখর জয়ী এডমুন্ড হিলারির দেহভস্ম ওই মাউন্ট এভারেস্টের চূড়াতেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে৷ তাঁর শেষ ইচ্ছেও ছিল তাই৷ আর এ দায়িত্ব নিয়েছেন ১৯ বার এভারেস্ট আরোহণকারী আপা শেরপা৷

https://p.dw.com/p/MlsT
মাউন্ট এভারেস্টছবি: AP

তেনজিং নরগেই শেরপা'র সঙ্গে যুগলভাবে এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম মানুষ এডমুন্ড হিলারি মারা যান প্রায় দুই বছর আগে, ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি৷ ৮৮ বছর বয়সে জন্মভূমি নিউ জিল্যান্ড-এ জীবনাবসান হয় তাঁর৷ হিলারির সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জানিয়েছেন, নিজের দেহভস্ম জন্মস্থান অকল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে আর এভারেস্টের ওপর ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন তিনি৷

শেষকৃত্যের পরপরই অকল্যান্ডের সমুদ্রে ভাসানো হয়ে হিলারির দেহভস্মের একাংশ৷ বাকিটা গত প্রায় দুই বছর ধরে মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে এভারেস্টের পাদদেশে শেরপা'দের গ্রাম থামে'র একটি বৌদ্ধ মঠে৷

Sardar Tenzing Norgay und Edmund Hillary
১৯৫৩ সালে তেনজিং নরগেই এবং এডমুন্ড হিলারি (বামে)ছবি: AP Photo

সগোত্রের তেনজিং নরগেই শেরপা'কে যেমন বীরের মর্যাদায় স্মরণ করে থাকে তেমনি হিলারিকেও একইভাবে বীরের মর্যাদা দিয়ে থাকে এবং বলা চলে নিজেদেরই একজন বলে মনে করে থাকে শেরপা'রা৷ আর তাই হিলারির দেহভস্ম এভারেস্টের ওপর ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটিকে একটি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবেই দেখছে শেরপা'রা৷

এই থামে গ্রামেরই আরেক বীর পর্বতারোহী আপা শেরপা৷ ইতোমধ্যেই ১৯ বার এভারেস্ট আরোহণ করে সবচেয়ে সফল এভারেস্ট আরোহীর খ্যাতি অর্জন করেছেন আপা৷ হিলারির দেহভস্ম তিনিই নিয়ে যাবেন এভারেস্টে৷ এটা করতে পারলে সম্মানিত বোধ করবেন জানিয়ে আপা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমিই মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় দেহভস্ম বয়ে নিয়ে যাবো হিলারির শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে৷''´

এই গ্রীষ্মকালেই ৮,৮৫০ মিটার (২৯,০৩৫ ফিট) উচ্চতার পর্বত শিখরে নিজের ২০তম আরোহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপা৷ তিনি জানান, হিলারির দেহভস্মের সঙ্গে ‘‘প্রভু বুদ্ধ'র একটি ছোট মূর্তিও'' নিয়ে যাবেন তিনি৷ এভারেস্টের চূড়ায় ওই বুদ্ধ মূর্তির সামনে বসে হিলারির আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করবেন আপা৷

Apa Sherpa
‘‘আমিই মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় দেহভস্ম বয়ে নিয়ে যাবো হিলারির শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে'' : আপা শেরপাছবি: AP

নেপালের রাজধীনা কাঠমাণ্ডুতে হিলারির প্রতিষ্ঠিত ‘হিমালয়ান ট্রাস্ট' এর কর্মী আং রিতা শেরপা এই বুদ্ধ মূর্তি নিয়ে প্রার্থনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিদায় নেওয়া আত্মার জন্য খু্বই মঙ্গলজনক এবং পবিত্র বলে গণ্য করা হয় একে৷''

এই ‘হিমালয়ান ট্রাস্ট' প্রতিষ্ঠা করে শেরপা সম্প্রদায়ের কল্যাণে বছরে প্রায় ২,৫০,০০০ ডলারের তহবিল যোগাড় করেছিলেন হিলারি৷ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নেপালের দুর্গম শোলুকুম্বু জেলায় অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে একটি ছোট বিমানবন্দরও৷ এছাড়া স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট এবং পানীয় জলের সরবরাহ লাইনও স্থাপন করেছে হিলারির ট্রাস্ট৷

মাউন্ট এভারেস্টের অবস্থান এবং পর্বতারোহনে দক্ষতার জন্য বিখ্যাত শেরপা সম্প্রদায়ের বসতিও এই নেপালের এই শোলুকুম্বু জেলাতেই৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক