1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্ট কালাপাথর শৃঙ্গে বৈঠক করলো নেপাল মন্ত্রিসভা

৫ ডিসেম্বর ২০০৯

মালদ্বীপের মন্ত্রিসভার একটি বিশেষ বৈঠক হয়েছিল সমুদ্রের নীচে আর শুক্রবার দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ নেপালের মন্ত্রিসভার বৈঠক হলো এভারেস্ট পর্বতমালার কালাপাথর শৃঙ্গের চূড়ায়৷

https://p.dw.com/p/Kqkk
এভারেস্ট শৃঙ্গে চলছে মন্ত্রিসভার বৈঠকছবি: AP

দুই দেশেরই একই উদ্দেশ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বাঁচাও পৃথিবী৷ মাত্র দিন দুয়েক পরেই ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷ চলতি সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনের ঠিক আগে হিমালয় পর্বতমালায় অনুষ্ঠিত নেপাল মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল বললেন, এই বিশ্ব আমাদের সকলের৷ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই বিশ্বকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷

আধা ঘন্টারও কম সময় ব্যাপ্তির এই বৈঠকে পরিবেশ সংক্রান্ত কয়েকটি বিল অনুমোদন করা হয়৷

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ বাড়াতেই এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাঠমান্ডু৷

সাধারণ যে পোশাক পরে অফিস আদালত বা সভা সমাবেশে যান মন্ত্রীরা, সেই পোশাক নয়, তাদের পরনে ছিল প্রচণ্ড ভারী শীতের পোশাক৷ মুখে ছিল অক্সিজেন মাস্ক৷

প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল ও অন্য ২২ জন মন্ত্রী সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ১৯২ ফুট ওপরে কালাপাথর শৃঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ বলা হয়েছে, শারীরিকভাবে সক্ষম মন্ত্রীরাই এই বৈঠকে যোগ দেন৷ অবশ্য তাঁরা এতটা উপরে হেঁটে ওঠেননি৷ গিয়েছেন বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে৷ এই বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মী এবং সাংবাদিকবৃন্দ৷

প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্ষতিকারক প্রভাব যেসব দেশের উপর পড়ছে তার মধ্যে নেপাল অন্যতম৷ হিমালয়ের বরফ বিপদজনক মাত্রায় গলছে৷ গ্রীষ্মের যে সময়টায় কালাপাথরের পুরোটায় তুষার থাকে, ঠিক সেই সময়ে শুধু সর্বোচ্চ চূড়ায় দেখা মেলে কিছুটা তুষারের৷ তিনি বলেন, আমরা তুষার দেখতে চাই৷ দেখতে চাই তুষার ঝড়, যা স্বাভাবিক৷

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে গত ১৭ অক্টোবরে মালদ্বীপের মন্ত্রিসভা সমুদ্রতলদেশে বৈঠক করেছিল৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই