‘এরা ধর্মকে বিশ্বাস না করে শুধু ব্যবহার করে’ | পাঠক ভাবনা | DW | 23.10.2020
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘এরা ধর্মকে বিশ্বাস না করে শুধু ব্যবহার করে’

মাদ্রাসায় ধর্ষণ এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে লেখা সংবাদভাষ্য পড়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় অনেক পাঠকই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন৷

জার্মানিসহ বিশ্বের নানা দেশে যাজকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে

জার্মানিসহ বিশ্বের নানা দেশে যাজকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে

এক্ষেত্রে আইন এবং ইসলামী বিধানের সঠিক প্রয়োগ দরকার বলে মনে করেন অনেকে৷ নৈতিক শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছেন অনেকে৷

‘‘ধর্মালয় নৈতিকতা শেখাবে এটাই তো আমরা এতদিন বিশ্বাস করে এসেছি৷’’ মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়ন নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্যটি করেছেন পাঠক আশীষ ধর৷ তিনি মনে করেন, শিক্ষাটা পরিবার আর শিক্ষকদের কাছ থেকেও আসতে হবে৷

পাঠক আবদুল গনি মনে করেন, ইসলামী বিধানের আলোকে প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়ন অপরাধ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে৷ মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পর্কে পাঠক সুজনের ধারনা, ‘‘এরা ধর্মকে বিশ্বাস করে না, শুধু ধর্মকে ব্যবহার করে৷’’

কওমি মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘সাধারণ বিষয়’ মনে করা হয় বলে জানিয়েছেন পাঠক ফারুক ইসলাম৷ তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো উচিত এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি হওয়া জরুরি৷

আর পাঠক আশরাফুল হক লিখেছেন, ‘‘মাদ্রাসা কিংবা গির্জা বিষয় নয়, ইসলামী বিধানের সঠিক প্রয়োগ৷ ইসলাম নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি কোনো বিষয়কে, বিশেষ করে সামাজিক অপরাধগুলোকে বন্ধ করার জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে৷ সেগুলোর সঠিক প্রয়োগ ছাড়া ধর্ষণ কিংবা অন্য কোনো সামাজিক অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়৷যদি কিছু হয় তবে আইন দিয়েই হয়! সেটার চর্চা করা দরকার ৷ আর ধর্ম, সেটাও তো আইন! মূল কথা হলো, দেশ যখন নাগরিকের সাধারণ অধিকার দিতে অক্ষম হয়, আইনের ব্যবহার যেখানে টাকায় কেনা যায়, সেখানে এমনটাই হবে! মূল বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না!’’ মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়ন বন্ধের ব্যাপারে এই মন্তব্যটি করেছেন পাঠক মেরি খান ৷

‘‘লেখক যথার্থই বলেছেন, ধর্ম দিয়েও হচ্ছে না আইন দিয়ে কী হবে৷ আসলেই তাই৷ ধর্ম দিয়ে যদি হতো তাহলে কেন বেশি ধার্মিকরা এই অপকর্ম করছেন? পাপাচার কোনো ধর্মেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাহলে এই ধর্মগুরুরা কোন বিধানে অপকর্ম করে ধর্মকে হেফাজত করছেন, ধর্মকে প্রচার করছেন, বেহেস্তে বা স্বর্গে যাওয়ার পথ খুজছেন? ধর্মগুরু বা রক্ষক বা প্রচারক হয়েও যদি একজন সাধারণ মানুষের ন্যায় অপকর্ম করেন, তাহলে তার মাঝে আর সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাবধান কোথায়? ধর্ম-কর্ম যদি আপনার-আমার মনমানসিকতা পরিবর্তন বা শুদ্ধ না করতে পারে, তাহলে এই ধর্ম পালন করে কী লাভ?’’ এই মতামত পাঠক লুতফর রহমান তালুকদারের৷

এদিকে পাঠক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘পুরো সমাজব্যবস্থা যেখানে ভেঙে পড়েছে, সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে প্রত্যেক ঘরে ঘরে, সেখানে আইন আর ধর্ম দিয়ে সহজেই বন্ধ করা সম্ভব নয়৷’’ এ বিষয়ে তিনি মনে করেন, প্রথমে অপসংস্কৃতির ছিদ্র বন্ধ করতে হবে৷

এম আবদুর রউফ লিখেছেন, ‘‘লেখকের কথার সাথে একমত হতে পারলাম না! এসব মাদ্রাসায় যেসব ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে তারা খুব দরিদ্র পরিবার থেকে আসে, ওদের বাবা-মায়েদের জবাবদিহি নেয়ার মতো কোনো সাহস নেই, তারাও অসহায়, দরিদ্র৷ তাছাড়া শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয় যেন তারা কাউকে কিছু না বলে৷’’

‘‘হ্যাঁ, মাদ্রাসায় কিছু যৌন নিপীড়ন হয়, কিন্তু অ্যামেরিকা ও ইউরোপের গির্জাগুলোতে যে কত বেশি হয়, তা ডয়চে ভেলে বলে না কেন?’’

পাঠক মমতাজ উদ্দিনের এই মন্তব্য দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি সংবাদভাষ্যটি পড়েননি, শুধু শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করেছেন৷ কারণ, সংবাদভাষ্যেও তথ্যগুলো বেশ স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে৷

যৌন নিপীড়ন বন্ধ করতে বাংলাদেশে যৌন শিক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন পাঠক মানিক মিয়া ও মোরশেদ রাজিব৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন