1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এর্দোয়ান জার্মানিতে তুরস্ক প্রতিষ্ঠা করতে চান'

২০ জুলাই ২০১৭

জার্মানির সবুজ দলের প্রার্থী চেম ও্যজদেমির ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তুরস্কের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ আঙ্কারার প্রতি জার্মানির ‘সরল নীতি' বাতিল করার দাবি তুলেছেন তিনি৷ পাশাপাশি তিনি চান, রাশিয়ার উপরে আরো নিষেধাজ্ঞা৷

https://p.dw.com/p/2gqse
DW Interview mit Cem Özdemir
ছবি: DW/R. Oberhammer

ইউক্রেনে সংকট সৃষ্টির দায়ে রাশিয়ার উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার পক্ষে চেম ও্যজদেমির৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়া ইস্যুতে তাঁর অবস্থানের কথা বারংবার জানিয়েছেন তিনি৷ যেহেতু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকে, তাই রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কোনো কারণ তিনি দেখেন না৷

ও্যজদেমিরের সাক্ষাৎকার যাঁরা নিচ্ছিলেন, ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল এবং জাফর আব্দুল করিম অবশ্য অন্য একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিবিদ খুব ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে জার্মানিতে আসেন৷ রাজনীতিবিদ হিসেবে সেদেশ এবং জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কিদের সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখেন তিনি৷

তুরস্কের একটি ন্যাটো বিমানঘাঁটিতে অবস্থানরত জার্মান সেনাসদস্যদের সঙ্গে জার্মান সাংসদদের দেখা করতে না দেয়া নিয়ে দু'দেশের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ও্যজদেমির বলেন, ‘‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান ন্যাটোর নিয়ম মেনে চলছেন না, বরং বারে থাকা গুণ্ডার মতো ব্যবহার করছেন৷''

তিনি এই ইস্যুতে ব্রাসেলসে থাকা ন্যাটোর সদরদপ্তর থেকে একটি পরিষ্কার বিবৃতিও দাবি করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই বিরোধ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং এর্দোয়ানের মধ্যে নয়, বরং ন্যাটো ও তুরস্কের মধ্যে৷''

Cem Özdemir: "Erdogan wants to establish Turkey in Germany"

মুসলিমপ্রধান দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে যে দীর্ঘ বিতর্ক চলছে সেই বিষয়েও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন চেম ও্যজদেমির৷ তুরস্ক যদি আবারো মৃত্যুদণ্ড চালু করার পথে আগায় তাহলে ইইউতে দেশটিকে যোগ করার আলোচনা শুধু বাতিল নয়, কাউন্সিল অফ ইউরোপ থেকেও দেশটির সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন সবুজ দলের এই রাজনীতিবিদ৷

জাফর আব্দুল করিম, যিনি ডয়চে ভেলের আরবি ভাষার টক শো ‘শাবাব টক'-এর মডারেটরও, চেম ও্যজদেমিরের কাছে জানতে চান, অভিবাসন প্রক্রিয়ার উন্নয়নে আরো কী করা যায় এবং জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারে তাঁর দল অন্তর্ভূক্ত হতে পারলে তারা ভিন্ন কী করতে পারবেন৷ জবাবে ও্যজদেমির বলেন, ‘‘জার্মানিতে ‘প্যারালাল সোসাইটি' গড়ার সব উদ্যোগ অবশ্যই দ্রুত বন্ধ করতে হবে৷''

অভিবাসীদের কার্যকর উপায়ে জার্মান সমাজে অন্তর্ভূক্তির পক্ষে থাকা এই রাজনীতিবিদ তুরস্ক ইস্যুতে জার্মান চ্যান্সেলরের ‘নরম' মানসিকতারও সমালোচনা করেন৷ বলেন, ‘‘জার্মানিতে পরিচালিত তুর্কি মসজিদগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকে ইন্টিগ্রেশনের মানসিকতা থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ সেখানে জায়গা দেয়া হয়েছে তাদের, যারা আঙ্কারা থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন৷ এটা মেনে নেয়া যায় না৷ এর্দোয়ান জার্মানির মধ্যে নিজের ক্ষমতা চর্চা করতে চান৷''

উল্লেখ্য, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জার্মান নির্বাচনের পর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে জোট সরকার গড়তে যোগ দিতে পারে সবুজ দল এবং মুক্তগণতন্ত্রী দল এএফডিপি৷ সেরকম কিছু ঘটলে সবুজ দল জলবায়ু রক্ষায় জার্মানিকে আরো সক্রিয় করবে বলে জানান ও্যজদেমির৷

কাই-আলেক্সান্ডার শলৎস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য