1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ান, ট্রাম্পের পারস্পরিক মুখরক্ষা

১৭ মে ২০১৭

ওভাল অফিসে দুই নেতার সাক্ষাতে এর্দোয়ান ট্রাম্পের কুর্দ সশস্ত্র বাহিনীকে অস্ত্রদানের সিদ্ধান্তের প্রকাশ্য সমালোচনা করেননি৷ ট্রাম্পও গত বছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এর্দোয়ানের দমননীতি উহ্য রাখেন৷

https://p.dw.com/p/2d5jw
Erdogan und Trump USA
ছবি: Reuters/K.Lamarque

তুর্কি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবৃদ্ধি সংক্রান্ত গণভোটে গত ১৬ই এপ্রিল এর্দোয়ানের জয়ের পর বিশ্বের যেসব নেতা তাঁকে সর্বাগ্রে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷

হোয়াইট হাউসের সাক্ষাতেও ট্রাম্প এর্দোয়ানকে ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে’’ একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বলে অভিহিত করেন৷ অপরদিকে এর্দোয়ান তাঁর ওয়াশিংটন সফরকে ‘‘ঐতিহাসিক দিকপরিবর্তনের’’ নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং উভয় দেশের ‘‘অসাধারণ সম্পর্ককে’’ স্বাগত জানিয়েছেন৷

‘‘আমরা তুরস্ককে... সন্ত্রাস এবং আইসিস ও পিকেকে-র মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমর্থন করি... সিরিয়ায় বীভৎস হত্যাকাণ্ডের অন্ত ঘটানোর প্রচেষ্টায় তুরস্কের নেতৃত্বের জন্যও আমরা সাধুবাদ জানাই,’’ বলেছেন ট্রাম্প৷

অপরদিকে কুর্দদের ওয়াইপিজি বা গণসুরক্ষা গোষ্ঠীগুলিকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রদান সম্পর্কে এর্দোয়ানের মন্তব্য, ‘‘ওয়াইপিজি-পিওয়াইডি-কে আঞ্চলিক সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা আমাদের গৃহীত একটি বিশ্বব্যাপি সমঝোতার বিরোধী৷’’

‘‘ঠিক সেভাবেই এই গোষ্ঠীগুলি – যারা এই অঞ্চলের জাতিগত অথবা ধর্মীয় কাঠামোগুলি পরিবর্তন করতে চায় – তাদের সন্ত্রাসবাদকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া (আমাদের) উচিৎ নয়,’’ বলেন এর্দোয়ান৷

ওয়াইপিজি বা পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটগুলি বস্তুত উত্তর ইরাকের স্বশাসিত কুর্দ-নেতৃত্বাধীন এলাকাগুলির সামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওয়াইপিজি-কে পিকেকে থেকে আলাদা বলে মনে করে এবং ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলে গণ্য করে৷

এর্দোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আরেকটি কণ্টকিত বিষয় ছিল তুর্কি ধর্মনেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে বহিষ্কারের দাবি, যিনি স্বেচ্ছানির্বাসনে পেনসিলভানিয়ায় বাস করছেন৷ এর্দোয়ান গুলেনকে গত বছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করেন৷ গুলেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

এর্দোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিম এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ‘ফেটো’-র বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ' নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে, তবে ঠিক কী বা কোন পদক্ষেপ, সে বিষয়ে কালিম কিছু বলেননি৷ আংকারার পরিভাষায় গুলেনের সংগঠন হলো একটি ‘‘গুলেনপন্থি সন্ত্রাসী সংগঠন’’৷

এর্দোয়ানের সফর উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনে তুর্কি রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের সামনে কুর্দ এবং আর্মেনীয় বিক্ষেোভকারীদের সঙ্গে এর্দোয়ান সমর্থক ও রাষ্ট্রদূত ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত নয়জন মানুষ আহত হয়েছেন৷ পুলিশ দু’ পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টা করে ও দু’ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে প্রকাশ৷

এসি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)