এলিয়েন সিরিজের মুভিগুলো

এলিয়েন সিরিজের মুভি মানেই গা ছমছম করা ছবি৷ ১৯৭৯ সালে পরিচালক রিডলে স্কট যখন প্রথম এলিয়েন মুভিটি বানান, তখন সেটি দেখে গা শিউরে উঠেছিল সবার৷ সেই ধারা বজায় থেকেছে পরের চারটি ছবিতেও৷ ‘এলিয়েন: কোভেনান্ট’ নামে সিরিজের ষষ্ঠ মুভিতেও ভয়ের উপাদানের কমতি নেই৷

জার্মান-আইরিশ অভিনেতা মাইকেল ফাসবেন্ডার (বামে) এবারও এলিয়েন চরিত্রে নজর কাড়া অভিনয় করেছেন৷ সিরিজের পঞ্চম ছবি ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রোমিথিউস’-এও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল৷

প্রথমটি সহ এলিয়েন সিরিজের ছয়টি ছবির মধ্যে তিনটির পরিচালক ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা রিডলে স্কট (বামে)৷ হালের কোভেনান্ট ছাড়াও প্রোমিথিউস-ও পরিচালনা করেছিলেন তিনি৷ বাকি তিনটির পরিচালক ছিলেন জেমস ক্যামেরন, ডেভিড ফিঞ্চার ও জ্যঁ-পিয়ের জোনে৷

৩৮ বছর আগে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবিতে বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সঙ্গে হরর এলিমেন্টের অপূর্ব সংমিশ্রণ মুভিপ্রেমীদের চমকে দিয়েছিল৷ রক্তাক্ত দৃশ্যের ব্যবহার কম করেও দর্শককে কীভাবে ভয় পাইয়ে দেয়া যায় পরিচালক সেটা করে দেখিয়েছেন৷

এলিয়েন মুভির সাফল্যের পেছনে অন্যতম বড় অবদান ভয়ংকর দেখতে একটি প্রাণীর৷ কাল্পনিক এই জীবটির নকশা করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের শিল্পী এইচ.আর. গিগার৷ ছবি হিট হওয়ায় তিনিও বিখ্যাত হয়ে যান৷

মার্কিন অভিনেত্রী সিগোর্নি উইভার এলিয়েন সিরিজের প্রথম মুভিতে এলেন রিপলে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন৷ ১৯৮৬ সালে জেমস ক্যামেরন যখন ‘এলিয়েন্স’ নামে সিক্যুয়েল তৈরি করেন সেখানেও অভিনয় করেছিলেন উইভার৷ এর মাধ্যমে তিনি অ্যাকশন চরিত্রে নারীদের অভিনয়ের বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন৷

সিরিজের তৃতীয় মুভিটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে৷ ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত এই থ্রিলার ছবির প্রধান চরিত্রে উইভার (ন্যাড়া মাথা) বরাবরের মতোই দারুণ অভিনয় করেন৷

ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যঁ-পিয়েরে জোনে পরিচালিত চতুর্থ ছবিতে কল্পকাহিনি আর হররের সঙ্গে ফ্যান্টাসি আর কিছুটা বাস্তবতাও যোগ করেছিলেন৷ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে৷

প্রায় ১৫ বছর পর এলিয়েন সিরিজের পঞ্চম ছবিটি মুক্তি পায় ২০১২ সালে৷ প্রোমিথিউসকে প্রিক্যুয়েল হিসেবে দেখা হয়েছে৷ পরিচালনায় ছিলেন প্রথম মুভির পরিচালক স্কট৷

৭৯ বছর বয়সি পরিচালক স্কট ইতিমধ্যে জানিয়েছেন এলিয়েন নিয়ে ভবিষ্যতে আরও ছবি নির্মাণ করা হবে৷