1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এসে বসো আহারে...

১৮ এপ্রিল ২০১৮

কলকাতা মানেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান৷ সঙ্গে প্রচুর কেনাকাটি করা আর ভুরিভোজ৷ কলকাতায় নতুন এলে কী  খাবেন তার একটা ধারণা নিতেই যদি হয়, তাহলে আদনানের ভিডিওটি দেখবেন৷ ভিডিওটি ইতিমধ্যে প্রচুর দর্শক দেখেছেন৷ এটি ভাইরাল হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2wERk
Indien chinesische Gemeinschaft in Kalkutta
ছবি: DW/P. Samanta

তীর্থক্ষেত্রে গেলে যেমন দেবদর্শন না করা মহাপাপ, তেমনি কলকাতায় গিয়ে সেখানকার মিষ্টির দোকানে না খেলে পাপের কম কিছু হবে না৷ তাই আদনান বাঙালি জাতিকে সে দুর্দশা থেকে রক্ষা করেছেন৷ আদনান কলকাতায় নতুন, তাই পুঁটিরামকে ‘রেস্তোরাঁ' বলেছেন৷ পুঁটিরাম আদতে উত্তর কলকাতার একটি প্রাচীন এবং বিখ্যাত মিষ্টির দোকান৷ বউবাজারের ভীম নাগ, দক্ষিণ কলকাতার বলরাম মল্লিক এবং বাগবাজারের কে.সি. দাশের মতো কলেজ স্ট্রিট চত্বরে পুঁটিরাম কলকাতার অন্যতম সেরা ডাকসাইটে মিষ্টির দোকান৷

  শত বদনাম সয়েও কলকাতার বাঙালিরা ঘুম ভেঙে উঠেই ডনবৈঠক দেয় না৷ বরং কচুরী, জিলিপির সন্ধান করে৷ পাড়া ক্রিকেট, গলির আড্ডা আর তেলেভাজার মতো কলকাতার জলখাবারের ইতিহাসটিও বেশ মুখরোচক৷ বাঙালির সকাল শুরু হয় আকাশবাণী কলকাতা শুনে আর সিঙ্গাড়া, নিমকি, রাধাবল্লভী, খাস্তা কচুরীর গন্ধ শুঁকে৷ এ জন্যই টেনিদা আর ঘনাদা কলকাতায় ‘গুল্প' দিতে পেরেছিলেন বলে মনে হয়৷ বাঙালির কালচারে ভাজা খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি আছেই, তাই ছাঁকা তেলে লুচি কচুরী না হলে মন ভরে না৷ সঙ্গে হিং দেওয়া মিষ্টি মিষ্টি ছোলার ডাল, ডুমো ডুমো করে কাটা খোসাশুদ্ধ আলুর তরকারি৷ খাওয়ার পর সঙ্গে একটু মিষ্টিমুখ করতেই হয়৷

আদনান পরম্পরা মেনে এসবই করেছেন৷

তিনি ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁর চিনেমাটির বাসনে খানাপিনা করেননি৷ বরং তা না করে আদনান কলকাতার সাবেক দোকানে গিয়ে সাবেকি স্টিলের প্লেটে রাধাবল্লভী এবং ছোলার ডালের  ভোজনপর্ব শেষ করে মিষ্টিপর্বে ফিরেছেন৷ কিন্তু আদনান কার্যত একটা বড়সড় গবেষনা করতে গিয়েও করলেন না! সেটা হলো, কচুরী, রাধাবল্লভী, লুচি প্রত্যেকটাই নাথিং বাট কায়দা করে ময়দা ভাজা৷ তাহলে আলাদাটা কোথায়? পার্থক্যটা কেবলই কি পুরের মধ্যে?

ঢাকায় যেটা ডালপুরী সেটা কলকাতায় এসে রাধাবল্লভী হয়ে গেল কেন, সেটা বিতর্কিত প্রশ্ন৷ তাই কি ব্যাপারটা ডালপুরী দিয়ে ছোলার ডালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে দিলেন এই ঢাকার সন্তান? তবে সে যা-ই হোক, পাতলা ছোলার ডালের মধ্যে লুচি বা রাধাবল্লভী যা-ই হোক না কেন, একটু ডুবিয়ে নিয়ে মুখে দেওয়া স্বর্গসুখের থেকে কম নয়! ভিডিও দেখতে দেখতেই একটু জল যে জিভ থেকে ফসকে পড়ে যেতে পারে, সাবধান!

অনুসন্ধানী আদনান বিল মেটাতে গিয়ে আবিষ্কার করেছেন, লুচি (রাধাবল্লভী)র সঙ্গে ডাল ফ্রি! এটা কলকাতার পুরনো রেওয়াজ৷ ফুচকার সঙ্গে তেঁতুল জল, সিঙ্গাড়ার সঙ্গে চাটনি আর লুচির সঙ্গে তরকারি ফ্রি৷ তা'বলে ভাতের হোটেলে ভাতের সঙ্গে ডাল আর চায়ের দোকানে চায়ের সংগে বিস্কুট ফ্রি পাবেন না৷

চোদ্দ টাকাকে কেউ মন ভরে রাধাবল্লভী খেতেই পারেন পুঁটিরামে৷ মিষ্টির ক্যাটাগরিতে সন্দেশ বা রসগোল্লা যাই খাবেন, দাম পড়বেই৷ রাজভোগ আকারে বড়, তাই দামটা আরও বেশি৷ খেতে কেমন, আদনান দিয়েছেন তারই সুলুকসন্ধান৷ রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে ওড়িশার সঙ্গে লড়াইয়ে জেতার পর কলকাতার মিষ্টি খাওয়ার মজাই আলাদা! তাই জমিয়ে খান কলকাত্তাইয়া খানা!

পিএস/ এসিবি  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য