এ কান্নার শেষ কোথায়?  | পাঠক ভাবনা | DW | 25.11.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

এ কান্নার শেষ কোথায়? 

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে সর্বোচ্চ চাপ দিতে চায় বাংলাদেশ৷ ডয়চে ভেলের অনেক পাঠকও একমত হয়ে তাতে সমর্থন জানিয়েছেন৷ তাঁরাও যে আর রোহিঙ্গাদের কষ্ট সইতে পারছেন না!

পাঠক জলিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘মিয়ানমারকে শুধু বাংলাদেশ কেন সারা বিশ্বেরই চাপ দেয়া উচিত, সেই সাথে রোহিঙ্গারা যেন বেঁচে থাকে  দ্রুত তারও ব্যবস্থা করা উচিত৷''

আর আল হাবিবের মতে মিয়ানমার সরকারকে বাংলাদেশের বলা উচিত, ‘‘হয় আরাকান আমাদের দাও, না হয় অন্য সবার মতো তাদের পূর্ণ অধিকারসহ স্বাভাবিকভাবে বাচঁতে দাও৷''

তবে দেওয়ান কিবরিয়া চান রোহিঙ্গারা যেন তাঁদের নিজের দেশে থাকার এবং অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ  করেন আর সে যুদ্ধে যেন অন্যান্য দেশ তাদের সাহায্য করে৷ 

অন্যদিকে ইউনুস আহমেদের প্রশ্ন, ‘‘যুগযুগ ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা স্বজন হারিয়ে কাঁদছে, এ কান্নার শেষ কোথায়?

কামরুল আহমেদ দুঃখ করে লিখেছেন, নির্যাতিত কিছু মানুষকে বাংলাদেশ জায়গা দিতে পারলো না, সামান্য মানবতা দেখাতে পারলো না, এটাই কি মুসলমানের পরিচয়? তিনি আরো জানিয়েছেন, মুসলমানদের মনে রাখা উচিত যে আমাদের নবীকে মদিনায় আশ্রয় দিয়েছিল কিন্তু খ্রিস্টানরা৷

পাঠক চামেলি আক্তারও কামরুল আহমেদের সাথে একমত৷ 

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে যে সর্বোচ্চ চাপ দিতে চায় বাংলাদেশ পাঠক সেলিম উদ্দিন, বাবলুসহ অনেকে তা পুরোপুরি সমর্থন করেছেন৷ আর  বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে এলে সকলেই ‘সাপোর্ট' করবে বলে ধারণা সোহেলের৷

রোহিঙ্গাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশকেই বেশি উদ্যেগী হতে হবে বলে মনে করেন  হাফেজ সাইফুল ইসলাম৷

রোহিঙ্গাদের কষ্ট পাঠক কেএমবি মনি'র মনকে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে, তিনি মনে করেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া অং সাং সুচির নোবেল প্রাইজ কেড়ে নেয়া উচিত৷ 

অন্যদিকে ‘নিজের দেশের সমস্যার সমাধান যারা করতে পারে না, তাদের আবার পরের জন্য দরদ উপচে পড়ছে'-এই  মন্তব্য করেছেন অনিক বিশ্বাস৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন