1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামা-দলাই লামা বৈঠকে চীনকে তুষ্ট করার চেষ্টা

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

রাজনৈতিক নেতা নয়, বরং কেবল একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবেই দলাই লামাকে দেখার চেষ্টা করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই ঐতিহ্যবাহী ওভাল অফিস বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সঙ্গে দেখা করলেন হোয়াইট হাউসের ম্যাপ রুমে৷

https://p.dw.com/p/M5Kg
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দলাই লামাছবি: AP

প্রথাগত ভাবে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এখন পর্যন্ত দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷ কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দলাই লামার বৈঠকটি হল তুলনামূলক কম পরিচিত ম্যাপ রুমে৷ বস্তুত বিগত এক বছরের বিশ্ব আর্থিক মন্দা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দুর্বলতাকে যেমন উন্মুক্ত করে দিয়েছে, তেমনি চীনের ওপর তাদের নির্ভরতাকেও বাড়িয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ওবামা মানবাধিকার আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশাকেও একেবারে উড়িয়ে দিতে চাননি৷ দলাই লামার সঙ্গে ম্যাপ রুমে তাঁর এই সাক্ষাৎ দুই পক্ষকেই খুশি করার একটি প্রচেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে৷

Wirtschaft China Beijing
বেইজিং এর একটি অফিস পাড়াছবি: AP

দুই নেতার বৈঠক চলেছে দীর্ঘ ৭০ মিনিট ধরে৷ তবে তার খুব কমই জানা গেছে, কারণ সেখানে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়৷ তবে বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে দুই নেতার বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়৷ এছাড়া বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ওবামা দলাই লামার প্রশংসা করেছেন তার অহিংস আন্দোলনের জন্য, এবং চীনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য৷ এছাড়া উভয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে৷ এসময় ওবামা তিব্বতের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত পরিচয় অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য তার সমর্থন ব্যক্ত করেন৷ বৈঠক শেষে হোটেলে ফিরে দলাই লামা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে থাকতে চাই৷ তবে তিনি একইসঙ্গে তিব্বতের অর্থবহ স্বায়ত্ত্বশাসনেরও আহ্বান জানিয়েছেন চীনা সরকারের প্রতি৷

এদিকে ওবামা-দলাই লামা বৈঠকের প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন৷ তবে অন্যবারের মত এবার খুব বেশি কড়া সমালোচনা আসেনি চীনের তরফ থেকে৷ চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মা ঝাওসু বলেছেন, এই বৈঠক তিব্বতের ব্যাপারে চীনা নীতির পরিপন্থী৷ এবং এই বৈঠকে বেইজিং অত্যন্ত অসন্তুষ্ট৷ দুই দেশের সম্পর্কে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরণের জন্য ওয়াশিংটনকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন