1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওমিক্রন ভয়ে ভারত, বিবৃতি প্রকাশ সরকারের

৩০ নভেম্বর ২০২১

ভারতে এখনো ওমিক্রন প্রজাতি ঢোকেনি। তবে পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানো হবে। জানালো সরকার।

https://p.dw.com/p/43eLj
ভারতে করোনা
ছবি: Manjunath Kiran/AFP

মঙ্গলবার দুপুরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে এখনো ওমিক্রন প্রজাতির করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেনি। তবে বেশ কিছু ব্যক্তির নমুনা জিনোম টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা সকলেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক সপ্তাহে ভারতে এসেছেন। সরকার জানিয়েছে, ওমিক্রন রুখতে পরীক্ষার পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানো হবে।

সরকার বিবৃতি প্রকাশ করলেও ওমিক্রন আতঙ্ক কমছে না। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত এক মুম্বইবাসীর কথা জানা গেছিল। দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে তিনি মুম্বইয়ে পৌঁছানোর পর জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে তার নমুনার জিনোম পরীক্ষা চলছে।

মঙ্গলবার আরো এক ব্যক্তির কথা জানা গেছে চণ্ডীগড়ে। গত ২১ নভেম্বর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চণ্ডীগড়ে ফেরেন। বিমানবন্দরে তার করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরেও সাতদিন আইসোলেশনে থাকার পর অষ্টম দিনে ফের তার করোনা পরীক্ষা হয়। তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুধু তাই নয়, তার পরিবারের আরো দুই ব্যক্তির করোনা ধরা পড়েছে। যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাননি।

অনুমান করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির মাধ্যমেই পরিবারের বাকি দুইজনের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। তিনজনকেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তাদের নমুনারও জিনোম টেস্ট হচ্ছে। রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি।

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও দ্রুত গতিতে সংক্রমিত হতে পারে। মিউটেশনের হার ৫০। ফলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পর্যদস্তু হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ। রাজধানী দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। শ্মশানে এবং কবরস্থানে লম্বা লাইন দেখা গেছিল।

কোনোভাবেই যাতে সেই ছবির পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিয়ে এবার সতর্ক সরকার। বিভিন্ন রাজ্যকে পরীক্ষার পরিমাণ অনেক গুণ বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে বিদেশি যাত্রীদের টেস্টের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে বলা হয়েছে। তবে ইউরোপের একাধিক দেশের মতো এখনই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেনি প্রশাসন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)