1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো অসিরা

৩১ জানুয়ারি ২০১১

ক্রিস উওকস এর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং সত্ত্বেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম ওয়ানডে ম্যাচে হেরে গেল ইংল্যান্ড৷ আর এর ফলে অ্যাশেজ সিরিজ হারার বেদনা কিছুটা ভুলতে পারলো অসিরা ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে৷

https://p.dw.com/p/107aF

ব্রিসবেনের গাব্বায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের বিজয়ী অসিরা হলেও ম্যাচের সেরা কিন্তু ইংলিশ পেসার ক্রিস উওকস৷ তার কারণেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস খুব বেশিদূর এগুতে পারেনি৷ টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক৷ শুরুটা যে খারাপ হয়েছে তা বলা যাবে না৷ দুই ওপেনার ওয়াটসন এবং হ্যাডিন ভালোভাবেই খেলছিলেন৷ কিন্তু ৪৮ রানে ওয়াটসন আউট হয়ে গেলে একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে৷ বিশেষ করে পেসার উওকস এর বোলিং ছিল সত্যিই দেখার মত৷ মোট ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ছয়টি উইকেট দখল করেন ক্রিস উওকস৷ একদিকে রান উঠলেও অন্যদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন হতে থাকায় ২৪৯ রানেই অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া৷ তবে অসি দলের অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হাফ সেঞ্চুরি দলের মধ্যে খানিকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে৷ তবে ক্রিজে নেমে প্রথম ১৩ বলে ১৭ রান করার পর হাফ সেঞ্চুরি করতে সময় নিয়েছেন ৭০ বল পর্যন্ত৷ বিশ্বকাপের আগে ক্লার্কের এই ইনিংস তার ফর্ম ফেরাতে সহায়তা করবে নিশ্চয়ই৷

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্রেট লি-র বোলিং তোপের মুখে পড়েন ইংলিশ ওপেনাররা৷ অনেক দিন পর ব্রেট লির বলে সেই পুরনো গতি এবং আগ্রাসন দেখা গেছে৷ ২২ রানের মাথায় দুই ওপেনার সহ তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ইংল্যান্ড৷ এরপর কেভিন পিটারসন খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হয়নি৷ ৯৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি৷ এরপর থেকে একের পর এক উইকেট পতনে ইংল্যান্ডের ইনিংস দাঁড়ায় নয় উইকেটে ১৪৫৷ কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে জেমস অ্যান্ডারসন এবং ওয়ানডে ডেব্যু হওয়া স্টিভেন ফিন রেকর্ড ৫৩ রান তোলেন৷ কিন্তু সেটা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে৷ এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচের সিরিজে ৪-১ এ এগিয়ে থাকলো অস্ট্রেলিয়া৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম