1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফর্মুলার খোঁজে বিজ্ঞানীরা

কর্নেলিয়া বর্মান/এসবি২৪ অক্টোবর ২০১৪

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির রহস্য ভেদ করতে বিজ্ঞানীরা নানা পথে এগোনোর চেষ্টা করছেন৷ অতীতের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ‘মিসিং লিংকগুলি ভরাট করার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ সবচেয়ে বড় আশা জেনিভার লার্জ হেড্রন কোলাইডার৷

https://p.dw.com/p/1DbOS
Weltraumteleskop Hubble Weltall Galaxien All Weltraum Teleskop
ছবি: picture-alliance/dpa

আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির রহস্য কী? আজকের এই অবস্থা কী ভাবে হলো? আলো কেন সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার গতিতে চলে? সেটা ১০ লাখ কিলোমিটারও তো হতে পারতো! এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে পদার্থবিদদের চাই এমন এক তত্ত্ব, যা সব প্রাকৃতিক শক্তির হদিশ দেয়৷ আলব্যার্ট আইনস্টাইনও প্রায় ৩০ বছর ধরে তার সন্ধান করেছেন, কিন্তু সফল হননি৷

এই লক্ষ্যের আরও কাছে আসতে চান গবেষকরা৷ তার জন্য তাঁরা লার্জ হেড্রন কোলাইডার নামের পার্টিকেল অ্যাকসিলারেটর যন্ত্রটিকে এমনভাবে সাজিয়েছেন, যাতে তা অদূর ভবিষ্যতে শক্তি উৎপাদন করতে পারে৷ এমনটা আগে কখনো সম্ভব হয়নি৷ তার মাত্রা এত বেশি হবে, যে নতুন পার্টিকেল সৃষ্টি হবে, যা আমাদের কাছে এতকাল অপরিচিত ছিল৷ গত শতাব্দীতে পদার্থবিদরা ম্যাটার বা পদার্থের কাঠামোর আরও গভীরে প্রবেশ করেছেন৷

Claudius Ptolemy Universum
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির রহস্য কী?ছবি: picture-alliance/imagestate/HIP

আমাদের চারিপাশে যা কিছু আছে, তাকে বেরিয়নিক ম্যাটার বলা হয়৷ কয়েকটি মাত্র উপাদানের সাহায্যে পদার্থবিদরা তার ব্যাখ্যা দিতে পারেন৷ এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুযায়ী দুই ধরনের পার্টিকেল রয়েছে৷

প্রথমটি ম্যাটার বা পদার্থ সৃষ্টি করে৷ দ্বিতীয়টি এমন পার্টিকেল দিয়ে তৈরি যা শক্তি বহন করে৷ কিন্তু এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল কিন্তু সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না৷ যেমন ডার্ক ম্যাটার কী, তা এতে জানা যায় না৷ তাছাড়া এতে এমন কোনো পার্টিকেলের উল্লেখ নেই, যা অভিকর্ষ বহন করে৷ তাই পদার্থবিদদের এই তত্ত্বের সম্প্রসারণ করতে হয়েছে৷ প্রত্যেকটি পার্টিকেলের জন্য সহযোগী স্থির করতে হয়েছে, যার নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ এদের বলা হয় সুপার-সিমেট্রিক পার্টিকেল৷

পদার্থবিদরা এলএইচসি-তে এমন সুপার-সিমেট্রিক পার্টনার পার্টিকেল খুঁজতে চান৷ সফল হলে তাঁরা এক সার্বিক তত্ত্বের আরও কাছে এগোতে পারবেন৷ কিন্তু একে কেন ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফর্মুলা' বলা হয়? হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুডরিড মোরগাট পিক বলেন, ‘‘কারণ এমন ফর্মুলা তৈরি হলে তা প্রকৃতির সব শক্তির বর্ণনা দিতে পারবে৷ এমনকি যে সব বিষয়ের ফর্মুলা ভাবাই কঠিন, তাও এতে স্থান পাবে৷ হয়ত আমরা একে ল্যাগব়্যাংজিয়ান পার্টিকেল মডেলে আনতে পারি৷ তবে বিষয়টি ঠিক সে রকম নয়৷ সেটা হবে পার্টিকেলগুলির মধ্যে সব রকম ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মৌলিক উৎস৷ যাকে ‘থিয়োরি অফ এভরিথিং' বলা চলে, যা সব সম্ভাব্য শক্তির ব্যাখ্যা দিতে পারবে৷''

ব্রহ্মাণ্ডে মোট চারটি শক্তি রয়েছে৷ সবচেয়ে পরিচিত হলো অভিকর্ষ৷ যে কোনো পদার্থের মাস বা ভর থাকলেই এই শক্তি কাজ করে৷ যে কোনো দূরত্বেই তা ঘটে৷ অভিকর্ষ ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফর্মুলা' নস্যাৎ করে দেয়৷ আইনস্টাইন তাঁর ‘থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি'-তে এর ক্রিয়ার বর্ণনা করেছেন৷ ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তিও যে কোনো দূরত্বেই কাজ করে৷ এই শক্তি আবার অণু-পরমাণুর গঠনও স্থির করে৷ বাকি দুটি শক্তি পরমাণুর মৌলিক স্তরে কাজ করে৷ স্ট্রং নিউক্লিয়ার পাওয়ার পরমাণুর কেন্দ্রীয় অংশ ধরে রাখে৷ আর উইক নিউক্লিয়ার পাওয়ার তেজস্ক্রিয় ভাঙন প্রক্রিয়া বর্ণনা করে৷ ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফর্মুলা'-র কাজ হবে এই সব শক্তিকে একত্র করা৷

‘বিগ ব্যাং'-এর পর যখন ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হলো, তখন সব মৌলিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ ছিলো৷ সে সময়কার অবস্থা ঠিক কেমন ছিল, আজকের তত্ত্ব তার বর্ণনা দিতে পারে না৷ সৃষ্টির সেই রহস্য ভেদ করতে হলে পদার্থবিদদের তখনকার শক্তিগুলিকে আবার একত্র করতে হবে৷

এক্ষেত্রে ‘স্ট্রিং থিয়োরি' সবচেয়ে উপযুক্ত তত্ত্ব হতে পারে৷ কারণ এই তত্ত্ব অনুযায়ী সবকিছুই অতি ক্ষুদ্র স্ট্রিং বা সুতা দিয়ে তৈরি৷ কিন্তু কেউ কোনোদিন সেগুলি দেখতে পাবে না৷ সহযোগী পার্টিকেল তত্ত্ব যদি প্রমাণ করা সম্ভব হয়, তাহলে তা ‘স্ট্রিং থিয়োরি'-কেও জোরালো করবে৷ কারণ সেটি ঠিক একই ভাবনার ভিত্তিতে গড়া৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান