1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেসে ওবামার পরাজয় ও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

৩ নভেম্বর ২০১০

ওবামার আসন্ন ভারত সফরের তিনদিন আগে, মার্কিন প্রতিনিধিসভায় ডেমোক্র্র্যাটিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ওপর তার ছায়া পড়বে কিনা, তা নিয়ে নতুন দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/PxHB
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: AP

মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিসভায় ডেমোক্র্র্যাটিক দলের পরাজয়কে ওবামার আর্থিক নীতির ওপর গণভোট বলে মনে করছে ভারত৷ মন্দা জর্জরিত মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার যে অঙ্গীকার করেছিলেন ওবামা, তা ঠিকমত পালিত না হওয়ায় জনগণ যে হতাশ, এটা তারই প্রতিফলন৷ ওবামা সরকারের আর্থিক নীতির কয়েকটি বিষয় ভারতের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে৷ যেমন, আউটসোর্সিং-এর রাস্তা বন্ধ করা, এইচ-ওয়ান ভিসা ফি বাড়ানো ইত্যাদি৷

এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক পরাঞ্জয় গুহঠাকুরতা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ওবামার ডেমোক্র্র্যাটরা যে দুর্বল হবে, সেটা অনেকেই ধরে নিয়েছিল৷ ফলাফলে সেটা পরিষ্কার হলো৷ তবে তিনি মনে করেন না, এতে ভারত-মার্কিন আর্থিক সম্পর্কে কোন ইতরবিশেষ হবে৷ওবামা আসার আগে যা ছিল, তাই থাকবে৷ হয়ত উনিশ-বিশ হতে পারে৷ উন্নতি বা অবনতি কোনটাই তেমন দেখছিনা বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তাঁর মতে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, চীন যেভাবে আর্থিক উন্নতি করছে তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতকেও আর্থিক দিক থেকে চীনের সমকক্ষ শক্তি করে তুলতে হবে৷ সেজন্য ভারতের বাজার আরো খুলে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছে ওবামা প্রশাসন৷ যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত ও চীন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হোক, সহযোগী নয়৷এক কথায়, সেই পুরানো নীতি, ডিভাইড এন্ড রুল৷ শাসন করো ভাগ করে শাসন করো৷ তবে সেটা কতদূর করা যাবে সেটা অন্যকথা৷

US-Wahlen 2008 Barack und seine Familie auf der Wahlparty in Chicago
২০০৮’এ নির্বাচন জিতে সপরিবারে বারাক ওবামাছবি: AP

আউটসোর্সিং-এ ভারতের ছেলেমেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার দখল করছে, এটা বাস্তব হলেও বেশ জটিল৷মার্কিন কোম্পানিগুলির মুনাফা কিন্তু এতে বাড়ছে৷ যেসব কাজ অ্যামেরিকানরা সাধারণত করতে চায়না সম্মানজনক নয় বলে সেগুলো ভারত থেকে করিয়ে নিচ্ছে কম খরচে, বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক পরাঞ্জয় গুহঠাকুরতা৷

ওবামার ডেমোক্র্র্যাটদের পাকিস্তান-আফগান নীতিও ভারতের অস্বস্তির আরেকটা কারণ৷ হালে পাক-মার্কিন কৌশলগত সংলাপ, ২০০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য দেয়া,পাকিস্তানী সেনাদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা তারই অঙ্গ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক