1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেস মাতালেন নেতানিয়াহু, বিশ্বকে নয়

২৫ মে ২০১১

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন কংগ্রেসে ৩১ বার স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেলেন৷ তবে তাঁর নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনা - ফিলিস্তিনিরা তো দূরে থাক, বাকি বিশ্বের কাছ থেকেও বিশেষ হাততালি পাবে কিনা, বলা শক্ত৷

https://p.dw.com/p/11NXm
কংগ্রেসে ভাষণ দিচ্ছেন নেতানিয়াহুছবি: picture alliance/dpa

নেতানিয়াহু - ওবামা - কংগ্রেস৷ একটা ত্রিমুখী বিরোধের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে৷ গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালের সীমানায় ফেরার কথা বলেন৷ শুক্রবার নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে ওবামার পাশে কিছুটা আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়৷ বলা বাহুল্য, নেতানিয়াহু ১৯৬৭ সালের সীমানাকে ইসরায়েলের পক্ষে আদৌ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না, এবং সেটা তিনি ওবামার পাশে বসেই বলতে দ্বিধা করেননি৷

অতঃপর ওবামা গেলেন আয়ারল্যান্ডে পূর্বপুরুষদের খোঁজে৷ তারপর ছাইমেঘের ভয়ে একদিন আগেই লন্ডনে পৌঁছলেন, রাণীর সঙ্গে নৈশভোজ করলেন ইত্যাদি৷ কিন্তু প্রায় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তৃতা, কংগ্রেস-সদস্যদের ঘন ঘন উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেওয়া ইত্যাদি দেখানো হয়েছে টেলিভিশনে৷

এর অনেকটাই অবশ্য লোক দেখানো৷ যেমন ওবামা কি তার মুখপাত্র নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো বিরূপ মন্তব্য করবেন না, হতাশ হয়ে থাকলেও তা দেখাবেন না - তেমনই কংগ্রেস যে নেতানিয়াহুকে এমন সরব সম্ভাষণ জানালো, তার একটা কারণ, অনুপস্থিত প্রেসিডেন্টকে জানান দেওয়া: ইসরায়েলকে বেশি কোণঠাসা কোরো না৷ তাহলে ২০১২-য় তোমার নিজের পুনর্নির্বাচন নিয়ে টান পড়তে পারে৷

ওদিকে নেতানিয়াহু যে ইতিবাচক কিছুই বলেননি, এমন নয়৷ আভাস দিয়েছেন যে, শান্তি পেতে গেলে যে ফিলিস্তিনি এলাকায় কয়েকটি ইহুদি বসতি ছাড়তে হবে, সেটা তিনি জানেন৷ এমনকি তিনি ‘বেদনাদায়ক আপোষের' কথা বলেছেন৷ অন্যদিকে তিনি বাদবাকি যে শর্তগুলো দিয়েছেন, সেগুলো ফিলিস্তিনিরা সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তার মধ্যে দু'টি হল: ইসরায়েলের স্বীকৃতি এবং হামাসের সঙ্গে ফাতাহ'র ঐক্যচুক্তি বাতিল৷

Palästina Israel Ausschreitungen Nakba
এ’ আগুন কি কোনোদিন নিভবে?ছবি: dapd

অতএব এবার ফিলিস্তিনিরা সত্যিই সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রত্বের স্বীকৃতি পাবার চেষ্টা করবে৷ অথচ নেতানিয়াহু ঠিক সেটাই আটকাবার আশা করছিলেন - খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থনও পেয়েছিলেন৷ কিন্তু কাটাছেঁড়া পশ্চিম জর্ডানের অফার দিয়ে ফিলিস্তিনিদের গোলটেবিলে ফেরানো যাবে না৷ এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত সম্পর্কে একটা সন্দেহ তো সবসময়েই থেকে যায়৷ সেটা হল: এই সংঘাতের অবসানে আদৌ কোনো পক্ষ আগ্রহী কিনা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা