1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কত নয়, কেমন

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

জার্মান উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডিয়র্ক নিবেল বলেছেন বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে জার্মানি কত টাকা ব্যয় করেছে সেটা বড় কথা নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খরচ করা টাকা দিয়ে আসলে কী রকম উন্নয়ন হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/19hV9
ছবি: picture-alliance/dpa

২০০৯ সাল থেকে উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন নিবেল৷ তিনি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সরকারের শরিক দল এফডিপি-র রাজনীতিবিদ৷ আগামী ২২ তারিখে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তার প্রাক্কালে নিবেল ডয়চে ভেলেকে একটি সাক্ষাৎকার দেন, যার সংক্ষিপ্ত অংশ নীচে তুলে ধরা হলো৷

প্রশ্ন: আগামী ২২ তারিখ নির্বাচন৷ এরপর আপনার মন্ত্রণালয় অন্য দলের অধীনে চলে যেতে পারে৷ জার্মানির উন্নয়ন নীতি ভবিষ্যতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

নিবেল: আমার মনে হয়, জার্মানি উন্নয়ন কাজে কত টাকা বরাদ্দ করলো সেটা বিবেচনায় না নিয়ে এখন থেকে কোন খাতে এবং টাকাটা ঠিকমতো কাজে লাগলো কি না, সেটা বিবেচনায় নেয়া উচিত৷ ভালো উন্নয়ন কাজের সূচক হিসেবে এই বিষয়টাকেই সামনে আনা উচিত৷

Entwicklungshilfe der EU
বাংলাদেশ সফরে একটি স্কুল পরিদর্শনে নিবেলছবি: picture-alliance/dpa

প্রশ্ন: এ বছরের শেষে জাতিসংঘের আয়োজনে পোল্যান্ডে যে জলবায়ু আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার দায়িত্ব নেয়ার ইঙ্গিত দেয়া উচিত?

নিবেল: প্রথমেই তহবিল দেয়ার অঙ্গীকারে ঘোষণা না দিয়ে লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে হবে৷ কেননা শুরুতেই টাকাপয়সার কথা তুললে অনেকে পুরো ব্যাপারটা থেকেই সরে আসতে পারে৷

প্রশ্ন: গত নির্বাচনি প্রচারণার সময় আপনি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন কিংবা অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন৷ এরপর আপনাকেই সেই মন্ত্রণালয়ের প্রধান করা হয়৷ দায়িত্ব নিয়ে আপনি তিনটি উন্নয়ন সংস্থাকে একটি সংস্থায় পরিণত করেছেন যেটা জিআইজেড নামে পরিচিত৷ আপনার দৃষ্টিতে নতুন কোন বিষয়গুলোতে নজর দেয়া উচিত?

নিবেল: গত ১৫ বছর ধরে শুধু জার্মানিতেই নয়, পুরো বিশ্বেই একটা বিষয় উপেক্ষিত ছিল৷ সেটা হচ্ছে পল্লি উন্নয়ন৷ আমরা সেটা আবার আলোচনায় এনেছি৷ দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষ সাধারণত পল্লিতে বসবাস করেন৷ পল্লি উন্নয়ন বলতে কৃষি উন্নয়নের চেয়েও বেশি কিছু বোঝায়৷ ঠিকমতো সংরক্ষণ করে রাখার জ্ঞান না থাকা, উৎপাদিত ফসল কাছের বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকা, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত না থাকা – এ সব কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়৷

উল্লেখ্য, জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী ডির্ক নিবেল তাঁর সময়ে ২০১১ সালের জুন মাসে তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন৷ সেসময় তিনি বলেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার সব সম্ভাবনা রয়েছে৷ জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের এই যাত্রায় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি৷

সাক্ষাৎকার: মিরিয়াম গেয়ার্কে / জেডএইচ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য