1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কপটিক খুনির মৃত্যুদণ্ড হল মিশরে

১৬ জানুয়ারি ২০১১

এক নতুন ধরণের আদালতের রায় দেখা গেল মিশরে৷ সেদেশের সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাতজনকে গুলি করে মারার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হল এক সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিক৷

https://p.dw.com/p/zyLX
মিশরে কয়েকদিন আগে বোমা হামলায় প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন (ফাইর ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

নতুন বছরের প্রথম দিনেই রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে নাগা হামাদি এলাকার কপটিক খ্রিষ্টানদের গির্জার সামনে নতুন বছর পালন করতে জড়ো হওয়া জনতার ওপর গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছিল মোহাম্মদ আমেদ হুসেন৷ আলেক্জান্দ্রিয়ার আদালত রবিবার তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে৷ হুসেনের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

আদালতে নিজের স্বীকারোক্তিতে হুসেনের বক্তব্য, একটি বারো বছরের মুসলিম বালিকাকে এক খ্রিষ্টান যুবক ধর্ষণ করেছিল, তার বদলা নিতেই হুসেনের এই হামলা৷ এই মামলারই আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে শুনানি এখনও শেষ হয়নি৷ তাদের সাজা শোনা যাবে আগামী মাসে৷ আদালতে তিনজনেই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে৷

কপটিক খ্রিষ্টানদের সঙ্গে মিশরে মুসলিমদের গণ্ডগোল অনেকদিন ধরেই চলছে৷ আলেকজান্দ্রিয়ার একটি কপটিক গির্জা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ায় সম্প্রতি ২৩ জন কপটিক খ্রিষ্টানের মৃত্যু হয় মিশরে৷ সেই ঘটনার দু'সপ্তাহের মাথায় এল হুসেনের বিরুদ্ধে আনা ওই হত্যাকাণ্ডের রায়৷

এই রায় কপটিক খ্রিষ্টানদের খুশি করেছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ সংবাদসংস্থা এএফপি-র তরফে এই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল নাগা হামাদির কপটিক বিশপ আনবা কিরোলোসের কাছে৷ তিনি জবাবে বলেছেন, ‘এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট৷'

তবে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে মিশরে৷ গত সপ্তাহেই এক কপটিক বৃদ্ধকে তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যার সামনে ট্রেনের কামরায় গুলি করে হত্যা করে এক পুলিশকর্মী৷ এই ঘটনার পর তীব্র বিক্ষোভও দেখা যায়৷ নতুন এই রায় উত্তেজক পরিস্থিতি শান্ত করতে একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম